ভারতে ধর্ষণ মামলার শুনানির দিনে নারীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা!

বণিক বার্তা অনলাইন

সম্প্রতি ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে এক প্রাণিচিকিৎসককে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক ক্ষোভ চলছে। এই ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে আরেকটি খবর। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের উত্তর প্রদেশের এক নারীর ধর্ষণ মামলার শুনানিতে যাওয়ার পথে গায়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ বলছে, ওই নারী যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে একজন তার সঙ্গীদের নিয়ে এ নির্মমতা ঘটিয়েছে।

২৩ বছর বয়সী ওই নারী এখন লক্ষ্ণৌ এর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা বলছেন, তার শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গেছে।

পুলিশ বলছে, এই নারী এ বছরের মার্চ মাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। গণমাধ্যমেও এ ব্যাপারে বেশ লেখালেখি হয়েছিল। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মামলাটির এক আসামি তার সঙ্গীদের নিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর গায়ে আগুন দিয়েছেন।

এরই মধ্যে মামলার সেই আসামি এবং সন্দেহভাজন আরো চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভারতের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার তিনি আদালতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার একটি ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালে একদল লোক তাকে আক্রমণ করে এবং কাছের একটি মাঠে নিয়ে যায়। সেখানেই তারা তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পড়ে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে লক্ষ্ণৌয়ের ট্রমা সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে ২০১২ সালে চলন্ত বাসে নির্ভয়া নামে এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ভারত জুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তবে এ ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো রায় ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ফের এ ধরনের ঘটনাগুলোতে সরকারের সমালোচনা করছেন অনেকেই। 

সরকারি এক হিসেবেই, শুধু ২০১৭ সালেই ধর্ষণের অভিযোগে ৩৩ হাজার ৬৮৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে হিসাবে ভারতে প্রতিদিন প্রায় ৯২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন