তীব্র নাব্য সংকটের কারণে নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী নৌরুটে অচলাবস্থা চলছে প্রায় এক মাস ধরে। নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এ রুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের কাছে আটকা পড়ছে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজ। এ অবস্থায় পণ্য আংশিক আনলোড করে জাহাজগুলোর ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) কমিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে। আর এতে জাহাজপ্রতি অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
সরেজমিন গতকাল বিকালে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বাহিরচর এলাকায় নোঙর করা অবস্থায় দেখা যায় অন্তত ৪০টি পণ্যবাহী জাহাজ। চট্টগ্রাম থেকে সার, সিমেন্ট, গম, কয়লা ও পাথর বহনকারী এসব জাহাজের গন্তব্য সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী। কিন্তু পর্যাপ্ত নাব্য না থাকায় জাহাজগুলো এখানে এসে আটকা পড়েছে।
এ সময় পাথরবোঝাই জাহাজ এমভি নুসরাত জাহান ২-এর চালক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাঘাবাড়ীতে পণ্য পরিবহনের জন্য নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী সব থেকে সহজ নৌরুট। প্রতিদিনই এ রুট দিয়ে শত শত পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে রুটটির দৌলতদিয়া, মোল্লার চর, কাজির হাট, বেতালিয়া, নাকালিয়া ও বেরাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় ছোট-বড় অসংখ্য ডুবোচর। ফলে বাধ্য হয়েই বহু জাহাজ এখানে নোঙর করেছে। আর জাহাজের ড্রাফট কমাতে ট্রলার ও বলগেটে করে পোলট্রি খাদ্য, সার, গম, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য খালাস করা হচ্ছে। এতে তাদের অতিরিক্ত টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে।
জাহাজ এমভি নুর মহম্মদের চালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, জাহাজগুলোর চলাচলের জন্য পানির গভীরতা প্রয়োজন ১৮-২০ ফুট। কিন্তু নদীর বিভিন্ন স্থানে এ গভীরতা বর্তমানে ৯ ফুটেরও কম। তাছাড়া দৌলতদিয়ায় আটকে থাকা এসব জাহাজের প্রতিটিতে ১ হাজার ২০০-১ হাজার ৫০০ টন পণ্য রয়েছে। এ অবস্থায় ড্রাফট কমাতে জাহাজ থেকে আনলোড করতে হচ্ছে অন্তত ৫০০ টন পণ্য।
পণ্য খালাসের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার আল হেলাল মাহমুদ বলেন, প্রতিটি জাহাজ থেকে কমপক্ষে ৫০০ টন পণ্য খালাস করতে হচ্ছে। এখানে জাহাজ থেকে এক টন পণ্য বলগেটে তুলতে শ্রমিক-খরচ হচ্ছে ১২৫ টাকা। এ হিসেবে ৫০০ টনে খরচ হচ্ছে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। একইভাবে প্রতি টন ১৪০ টাকা হিসেবে ৫০০ টনের জন্য বলগেটের ভাড়া দিতে হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি জাহাজ থেকে এভাবে পণ্য খালাসে মালিক পক্ষ বা ঠিকাদারকে গচ্চা দিতে হচ্ছে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকারও বেশি। তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে এ পণ্য খালাসেও দেরি হচ্ছে। ফলে জাহাজগুলোকে দিনের পর দিন নোঙর ফেলে বসে থাকতে হচ্ছে।
- সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
- টেকনাফ বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ল ২৫ ফুট লম্বা তলোয়ার মাছ
- পঞ্চগড়ে ট্রাক ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- কক্সবাজারে স্পেশাল ট্রেনের তিন বগি লাইনচ্যুত
- মাদারীপুরের শিবচরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১
- সিরাজগঞ্জে হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু