১৪ বছর পর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ। দীর্ঘ বিরতির পর সম্মেলন আয়োজনের কারণে এবার দুই কমিটিতে পদপ্রত্যাশীর তালিকাও দীর্ঘ। নতুন নেতৃত্ব নাকি বর্তমান পদধারীরাই বহাল থাকছেন, এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সম্মেলনসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভোটের বদলে এবার সমঝোতা বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে সম্মেলন না হলেও ২০১১ সালের নভেম্বরে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ বিরতির সম্মেলন এবং জেলা ও মহানগরে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে দলটির নেতাকর্মীদের মাছে। আজ নগরীর আলীয় মাদ্রাসা মাঠে বেলা ১১টায় এ সম্মেলন শুরুর কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি স্থানীয়দের আগ্রহ জেলা ও মহানগরের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে।
সূত্র জানায়, দুই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে অন্তত ৩০ জন নেতা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিজেদের সমর্থনে ব্যানার-ফেস্টুন টানানোর পাশাপাশি নগরীতে মিছিলও করেছেন তারা। এবার কাউন্সিলরদের ভোটের বদলে সমঝোতা বা সভানেত্রীর নির্দেশনা অনুসারে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
দুই কমিটিতে পুরনোরা থাকছেন না নতুনদের হাতে তুলে দেয়া হবে নেতৃত্ব, এ প্রশ্ন দলের কর্মীদের মধ্যে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুত্ফুর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগে এ দুই পদে রয়েছেন সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও আসাদউদ্দিন আহমদ। লুত্ফুর ও কামরান স্বপদে বহাল থাকতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে শফিক-আসাদ চাইছেন নিজ নিজ কমিটির সভাপতির পদ।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির পদ পেতে আগ্রহী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদও। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীও এ পদ পেতে আগ্রহী। এ দুজনই বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। তবে এমপি হওয়ার কারণে দলের শীর্ষপদে তাদের আসার সম্ভাবনা কম। জেলার সভাপতি পদপ্রার্থীদের মধ্যে আরো রয়েছেন সদর 
