এসএ গেমসে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে দেয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি নেপালকে। গতকাল ফাইনালে ওঠার পথে রাবেয়া খানের দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিক নেপালকে মাত্র ৫০ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পরে কোনো উইকেট না হারিয়েই সহজ লক্ষ্যে পৌঁছে যান সালমা খাতুনরা। তখনো হাতে ছিল ৭৪ বল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ, তাতে নিশ্চিত হলো ন্যূনতম রৌপ্যপদকও।
৫১ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও আয়েশা রহমান। ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন দুজন। মুরশিদা ২৪ বলে ২৩ ও আয়েশা অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৬ রানে।
টস জিতে নেপালকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটের সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি নেপালি ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগে কাজল শ্রেষ্ঠাকে ফিরিয়ে দেন জাহানারা আলম। ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি শ্রেষ্ঠা। দলীয় ৭ রানে আরেক ওপেনার সিতা রানা মাগারকেও একইভাবে বোল্ড করে ফেরান জাহানারা। নেপালকে তৃতীয় ধাক্কাটি দেন ফাহিমা খাতুন। ১২ রান করা সনু কাদকাকে ফিরিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক রুবিনা ছেত্রিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রাবেয়া খানের শিকার হয়ে ফেরেন ১৩ রান করে। এ অবস্থা থেকে উইকেটে আর থিতু হতে পারেনি নেপাল। একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে। রাবেয়ার পরের ওভারে আউট হয়ে ফেরেন মমতা চৌধুরী (১)। একই ওভারে করুণা ভান্ডারিকেও রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর ৫০ রানে যেতেই গুটিয়ে যায় নেপাল। ৪ ওভারে দুই মেডেনে মাত্র ৮ রান দিয়ে রাবেয়া নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন জাহানারা। সালমা, নাহিদা ও ফাহিমা নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন বিধ্বংসী বল করা রাবেয়া।
একই দিন আরেক ম্যাচে মালদ্বীপকে দাঁড়াতেই দেয়নি শ্রীলংকা। হার্শিতা মাদাভির দুর্দান্ত ৪৭ বলে ১০৬ রানের ইনিংসে ২ উইকেটে ২৭৯ রান সংগ্রহ করে লংকানরা। জবাবে ৩০ রানেই গুটিয়ে যায় মালদ্বীপ। লংকানরা জয় পায় ২৪৯ রানে। আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ।