জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল যশোর সেনানিবাসে সিগন্যাল কোরের ষষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনগণই সব ক্ষমতার মালিক। রাষ্ট্র ও সরকারের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় জনগণের কল্যাণে। তাই আপনাদের দায়িত্ব পালনকালে জনস্বার্থ ও জনকল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের কষ্টার্জিত টাকায়ই দেশের উন্নয়ন ও রাষ্ট্রের যাবতীয় ব্যয় মেটানো হয়। তাই জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি জনগণের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি আশা করি, দায়িত্ব পালনকালে আপনারা শুদ্ধাচার কৌশল যথাযথভাবে প্রতিপালন করবেন। নিজের দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন।
সিগন্যাল কোর সেনাবাহিনীর গৌরবময় ঐতিহ্যের অংশীদার উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর দেশ গঠন ও দেশমাতৃকার সেবায় এ কোরের সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো দুর্যোগময় মুহূর্তে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং সেবামূলক কর্মকাণ্ডে সিগন্যাল কোরের সদস্যদের অবদান প্রশংসনীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ও কুয়েত পুনর্বাসন মিশনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সিগন্যাল কোর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে ভবিষতেও একইভাবে জনকল্যাণমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে অবদান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যুদ্ধের ময়দানে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য অংশ হিসেবে কোর অব সিগন্যালস এ গুরুদায়িত্ব পালন করে আসছে। আধুনিক যুদ্ধে রণকৌশলগত বিষয়ে উপযুক্ত সিগন্যাল যোগাযোগ ও কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগ যুদ্ধক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত যোগাযোগ সরঞ্জামাদির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উেক্ষপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিদেশী স্যাটেলাইটনির্ভরতা পরিহার করে এরই মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহূত হচ্ছে, যার