রিজার্ভ চুরি

মূল হোতাদের পরিচয় ও আরসিবিসিকে জরিমানার অর্থ চেয়েছে বাংলাদেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ফিলিপাইনের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের পরিচয় চুরিসংক্রান্ত আর্থিক তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে দেশটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) করা জরিমানার ২০ মিলিয়ন ডলারও চেয়েছে ঢাকা। গতকাল বাংলাদেশ ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে ফিলিপাইনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের সহকারী সচিব মেইনার্দো এলবি মন্টিলাগ্রি। প্রায় চার বছর পর দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় এফওসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির যে ঘটনা ঘটেছিল, সেই বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে আজ (গতকাল) ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসির প্রতিনিধিরা আলাদাভাবে বিষয়ে বৈঠক করেছেন। ফিলিপাইনের কাছে আমরা রিজার্ভ চুরির মূল হোতাদের পরিচয় অর্থ চুরির ঘটনাসংক্রান্ত কিছু আর্থিক তথ্য চেয়েছি। ফিলিপাইনের প্রতিনিধিরা আমাদের জানিয়েছেন, তারা সেসব তথ্য বিনিময় করবেন।

তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, অর্থ চুরির মূল হোতাদের পরিচয় এবং -সংক্রান্ত আর্থিক তথ্যগুলো ফিলিপাইন জানালে বাংলাদেশে -সংক্রান্ত যে মামলা চলমান রয়েছে, তা নিষ্পত্তিতে তথ্য সহায়ক হবে। বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ফিলিপাইন এরই মধ্যে আরসিবিসিকে ২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে। আমরা প্রস্তাব করেছি, জরিমানার অর্থ বাংলাদেশকে দেয়া যেতে পারে। যদিও বিষয়ে ওদের অন্য রকম যুক্তি আছে। তারা বলেছে, আরসিবিসি ওই দেশের আইন ভঙ্গ করেছে বলেই তাদের জরিমানা গুনতে হয়েছে, জরিমানার অর্থের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিছু অর্থের বিষয়ে এখনো হদিস পাওয়া যায়নি, কিছু অর্থ পাচার হয়ে গেছে, সেটা আমরা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন