আজ হানাদারমুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর

বণিক বার্তা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর

 লক্ষ্মীপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ ১৯৭১ সালের আজকের দিনে লক্ষ্মীপুর পাকিস্তানি হানাদার রাজাকারমুক্ত হয়

এর আগে ১৯৭১ সালের নয় মাস সময়জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ছিল বর্বর পাকিস্তানি হানাদার এদেশীয় রাজাকার বাহিনীর হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সম্মুখযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মেজর ইমতিয়াজসহ শতাধিক পাক সেনা এবং ২৫০-এরও বেশি রাজাকার-আলবদর নিহত হয় হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খালের ওপর নির্মিত মাদাম ব্রিজটি উড়িয়ে দেন

১৯৭১ সালের ২১ মে ভোরে লক্ষ্মীপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার দোসররা সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ তাণ্ডবলীলা চালায় শহরের মজুপুর গ্রামে বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে, অসংখ্য মানুষকে গুলি বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় সময় হানাদারদের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে এবং গুলি বেয়নেটের আঘাতে প্রাণ দিতে হয় নিরীহ ৪০ গ্রামবাসীকে তাদের মধ্যে পার্বতী পাল বাড়ির পার্বতী চরণ পাল, উপেন্দ্র পাল, ঊষা রানী পালকে নির্মমভাবে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এছহাক ব্যাপারী বাড়ির চৌধুরী মিয়া, মাঝি বাড়ির তরিক উল্যা, দীন মোহাম্মদ বাড়ির হাসান আহম্মদ, জাফর আহমেদ তার মাসহ অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া হয় ওই গ্রামের ১১টি বাড়ির ২৯টি বসত ঘর

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এসব নরকীয় হত্যাযজ্ঞের আজো নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়িস্থ গণকবর, শহীদ স্মৃতি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সার গোডাউন, মাদাম ব্রিজ, বাসু বাজার স্মৃতিস্তম্ভ, বাজার ব্রিজ, পিয়ারাপুর ব্রিজ মজুপুরের কয়েকটি বাড়ি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ওইদিনের স্মৃতি মনে পড়লে আজো গা শিউরে ওঠে মূলত ডিসেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে সাঁড়াশি আক্রমণ চালানো হয় এক পর্যায়ে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় হানাদার রাজাকারমুক্ত হয়ে ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে আনন্দ মিছিল করে সাধারণ মানুষ প্রত্যেক বছর দিবসটি পালন করতে লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল জেলা প্রশাসনসহ উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন