জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চলমান অচলাবস্থা নিরসন ও শিক্ষাকার্যক্রম সচল করার লক্ষ্যে আজ জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আবদুস সালাম মিঞা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা, একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে বেলা আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। জাবি ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক এম মাইনুল হুসাইন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, অনতিবিলম্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া ছাড়াও পরীক্ষা ও শিক্ষাকার্যক্রম দ্রুত কার্যকর করতে হবে। আন্দোলন করা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু আবাসিক এলাকায় গান-বাজনা এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। একই সঙ্গে চলমান আন্দোলনে যেসব জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যদিকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান’ প্রকাশ করার কথা ছিল আজ। কিন্তু তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তারা জানান, ‘অনিবার্য কারণবশত পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর কর্মসূচি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, উপাচার্যের দুর্নীতিসংক্রান্ত বেশকিছু নতুন ও গুরুতর তথ্য আসায় ওই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। তাই প্রকাশনা পর্বটি পিছিয়ে দেয়া হলো। আগামীকাল দুপুর ১২টায় তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের একাংশের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল ও শিক্ষাকার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় জাবি প্রশাসন।