বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি আমাদের পোশাক খাত কতটা প্রস্তুত?

গত ২৮ নভেম্বর বণিক বার্তা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের যৌথ উদ্যোগেবৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি: আমাদের পোশাক খাত কতটা প্রস্তুত?’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় দ্য ওয়েস্টিনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্রোড়পত্রে প্রকাশ হলো

অংশ নিয়েছেন যারা-

প্রধান অতিথি
টিপু মুনশি, এমপি : মাননীয় মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
সূচনা আলোচক
ড. কে এ এস মুরশিদ : মহাপরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
আলোচক
এ কে আজাদ : ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হা-মীম গ্রুপ ও সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই
মোহাম্মদ আলী খোকন : প্রেসিডেন্ট, বিটিএমএ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ম্যাকসন্স গ্রুপ
আবদুস সালাম মুর্শেদী, এমপি : ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনভয় গ্রুপ ও সাবেক সভাপতি, বিজিএমইএ
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী : প্রেসিডেন্ট, বিসিআই ও চেয়ারম্যান, ইভিন্স গ্রুপ
এম আই সিদ্দিক : পরিচালক, বিকেএমইএ ও পরিচালক, বে ক্রিয়েশন লিমিটেড 
মো. আবুল কাশেম : উপাচার্য, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল
ড. নাছিমা আকতার : পরিচালক, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল
মো. আলমগীর হোসেন : সদস্য, করনীতি, এনবিআর
আহমেদ জামাল  : ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
ড. রুবানা হক  : সভাপতি, বিজিএমইএ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোহাম্মদী গ্রুপ 
মো. সিদ্দিকুর রহমান : সহসভাপতি, এফবিসিসিআই ও চেয়ারম্যান, স্টারলিং গ্রুপ
এনামুল হক :  হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

সঞ্চালক
দেওয়ান হানিফ মাহমুদ : সম্পাদকবণিক বার্তা

অবকাঠামোগত সমস্যাজ্বালানি  পানির সংকটমুদ্রা সমন্বয়তহবিলের উচ্চব্যয় খাতটির জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ

দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সম্পাদকবণিক বার্তা

আন্তর্জাতিক বাজারে এক দশকেরও বেশি সময় শক্তিশালী অবস্থান সত্ত্বেও দেশের অন্যতম রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পোশাক খাত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। দেশের মোট রফতানিতে ৮০ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখার পাশাপাশি ৪০ শতাংশ শিল্প শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গার্মেন্ট পণ্য রফতানি হয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যদিও তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এই ভেবে যে, আন্তর্জাতিক বাজারের ধীরগতি মোকাবেলার পাশাপাশি কীভাবে তারা বর্ধিত উৎপাদন খরচ সামলাবেন। অবকাঠামোগত সমস্যা, জ্বালানি পানির সংকট, মুদ্রা সমন্বয়, তহবিলের উচ্চব্যয় ইত্যাদিও খাতটির জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পের অংশীজনদের পারস্পরিক মতামত বিনিময় খাতটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য যুক্তি-পরামর্শ গ্রহণের সময় হয়েছে। শুধু গার্মেন্টই নয়, দেশের অন্যান্য রফতানি খাতও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং রফতানি বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে ওইসব চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

 


ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিগুলো কোরিয়াহংকংয়ে স্থানান্তরিত হয়েছেবিপরীতে আমরা এখনো শ্রমভিত্তিক শিল্পের গণ্ডিতে আটকে আছি

এনামুল হক , হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড


বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরএমজি খাতের অবদান জিডিপির ১১ শতাংশ এবং মোট রফতানির প্রায় ৮৩ শতাংশ। উত্তরোত্তর খাতটির উন্নতি হচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা বিশ্বের ২৩তম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হব বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো বিশ্ব সংস্থা। এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আরএমজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।

অর্থনীতির ইতিহাস বলে, রফতানি শক্তিশালীকরণ ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়নি। চীন কিন্তু রফতানি শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে রফতানি বৈচিত্র্যকরণের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এক্ষেত্রে আরএমজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি। বৈশ্বিক রফতানি বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষণীয়। বিশেষ করে পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো অনলাইন স্টার্টআপের দিকে ঝুঁকছে, মাত্র দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পোশাকের ডিজাইন তৈরি হয়ে যাচ্ছে, বিশ্বজুড়ে ফ্যাশনের বড় ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে, সামাজিক যোগায??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন