চীনে সিলোন ব্ল্যাক টি রফতানি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে শ্রীলংকা। আগামী পাঁচ বছরে দেশটিতে পানীয় পণ্যটির রফতানি দ্বিগুণ বাড়িয়ে বছরে দুই কোটি কেজিতে উন্নীত করার প্রত্যাশা করছে দেশটি। শ্রীলংকা টি বোর্ড (এসএলটিবি) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিনহুয়া।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি লুসিলি উইজেওয়ারডেনা বলেন, চীনে শ্রীলংকার মানসম্মত সিলোন ব্ল্যাক টির চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে দেশটির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পানীয় পণ্যটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে; যা দেশটিকে সিলোন ব্ল্যাক টির অন্যতম শীর্ষ ক্রেতা দেশে পরিণত করেছে। আগামী পাঁচ বছরে চীন সিলোন ব্ল্যাক টির শীর্ষ ক্রেতা দেশ হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
এসএলটিবির তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলংকা বছরে গড়ে ৩০ কোটি কেজি চা উৎপাদন করে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে দেশটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চা আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে। এর মধ্যে ব্ল্যাক টির চাহিদা বৃদ্ধির জেরে চীনে প্রতি বছরে ১ কোটি ১০ লাখ কেজি চা রফতানি হয়।
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) দেশটির বাগানগুলোতে মোট ২৫ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। এ সময় দেশটি থেকে ২৪ কোটি ৬৯ লাখ কেজি চা রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল ২৩ কোটি ৫৯ লাখ কেজি। অর্থাৎ এবার পানীয় পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ কেজি।
বৈশ্বিক শীর্ষ চা রফতানি ও উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় শ্রীলংকার অবস্থান যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ। এ মুহূর্তে দেশটির সিলোন টির সবচেয়ে বড় বাজার তুরস্ক। এর পর রয়েছে যথাক্রমে ইরান, ইরাক, রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সম্প্রতি দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়ও পানীয় পণ্যটির রফতানি বেড়েছে। তবে রফতানির পাশাপাশি শ্রীলংকা চীন থেকে গ্রিন টি আমদানি করে, যা দেশটি প্রক্রিয়াজাত করে পুনরায় বিভিন্ন দেশে রফতানি করে থাকে।
