২০১৬ ও ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ না করলেও ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। বিষয়টি পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় ঢাকা লেডিস ক্লাবে আলোচ্য তিন হিসাব বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ জানুয়ারি।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৩ ও ২০১৪ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি তারা। ২০১২ হিসাব বছরে ১৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৭৮ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৬ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম। সমাপনী দর ছিল ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬০ টাকা ও ১১৫ টাকা ১০ পয়সা।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রগ্রেসিভ লাইফের অনুমোদিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৬৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫৭ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে মেসার্স গ্যালাক্সি ক্যাপিটাল লিমিটেডে (জিসিএল) থাকা নিজেদের সব বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় প্রগ্রেসিভ লাইফ এবং সে অনুযায়ী গ্যালাক্সি ক্যাপিটালে থাকা তাদের ৫১ শতাংশ শেয়ার ৩ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকায় হস্তান্তর সম্পন্ন করে।