আসছে ফাইভজি সমর্থিত চার আইফোন

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপল আগামী বছর একযোগে ফাইভজি সমর্থিত চারটি আইফোন উন্মোচন করতে পারে। গত সোমবার মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক আর্থিক সার্ভিসেস হোল্ডিং কোম্পানি জেপি মরগান প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর সিএনএন বিজনেস।

জেপি মরগানের বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ফাইভজি সমর্থিত নতুন চার আইফোন উন্মোচন করতে পারে অ্যাপল। ডিভাইসগুলো ভিন্ন সাইজ ডিসপ্লের সমন্বয়ে বাজারে ছাড়া হবে। এগুলোর একটিতে দশমিক ইঞ্চি এবং একটিতে দশমিক ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার হবে। এছাড়া বাকি দুই আইফোনে দশমিক ইঞ্চি ডিসপ্লে থাকতে পারে। তুলনামূলক বড় ডিসপ্লের দুই আইফোনে থাকবে বিশেষসেন্সর শিফট প্রযুক্তি’, যা গতিশীল কোনো বস্তুর ভিডিও কিংবা ছবি ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানের নিশ্চয়তা দেবে।

অ্যাপল ফাইভজি সমর্থিত আইফোন কবে উন্মোচন করবে নিয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। তবে বরাবরই চুপ থেকেছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। জেপি মরগানের প্রতিবেদন বিষয়েও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি অ্যাপল। আইফোনে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করার ক্ষেত্রে বরাবরই কিছুটা সময় নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আইফোনে ফাইভজি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি সমর্থন আনার ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনেক বিশ্লেষকের ভাষ্যে, আগামী বছর অ্যাপল নতুন যেসব আইফোন আনবে, সেগুলো চলতি বছরের ডিভাইসগুলোর মতোই হবে। এগুলোয় যথাক্রমে দশমিক ইঞ্চি, দশমিক ইঞ্চি এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী সংস্করণটিতে দশমিক ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হবে।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাং এবং চীনভিত্তিক ওয়ানপ্লাস এরই মধ্যে তাদের ফাইভজি-সংবলিত স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেলফোন অপারেটর ভেরাইজন, এটিঅ্যান্ডটি এবং টি-মোবাইল ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কার্যক্রম জোরদার করেছে। এক্ষেত্রে ফাইভজি স্মার্টফোন বাজারে অ্যাপলের পিছিয়ে থাকার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ টেলিযোগাযোগ বাজারগুলোয় ফাইভজির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চীনের তিনটি রাষ্ট্রীয় সেলফোন অপারেটর একযোগে দেশটির ৫০টি শহরে ফাইভজি প্রযুক্তিতে টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে শুরু করেছে। ফাইভজি প্রযুক্তির বিস্তারে চীন নেতৃত্ব দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ খাতে পঞ্চম প্রজন্মের আলট্রা-ফাস্ট ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির কারণে স্মার্টফোনকেন্দ্রিক উদ্ভাবন বাড়বে। একই সঙ্গে আরো উন্নত ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সম্ভব হবে।

বিশ্বজুড়ে ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরুর লক্ষ্যে দ্রুত কাজ চলছে। ডিভাইস নির্মাতারাও ফাইভজি সমর্থিত ডিভাইস উন্মোচনে জোর দিচ্ছে। কারণ ফাইভজির সুবিধা পেতে প্রথমে প্রয়োজন ফাইভজি সমর্থিত ডিভাইস। এক্ষেত্রে স্যামসাং চীনভিত্তিক হুয়াওয়ে, অপো, ওয়ানপ্লাস শাওমির মতো ডিভাইস নির্মাতা এগিয়ে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে বাজারে ছাড়া আইফোন ১১-তে ফাইভজি সমর্থন না এনে ভুল করেছে অ্যাপল। যে কারণে ফাইভজি ডিভাইস বাজারে প্রতিযোগিতায় অ্যাপলের পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

অ্যাপল গত বছর যা করেছিল

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন