পদত্যাগ করলে কি পেঁয়াজের দাম কমে যাবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বণিক বার্তা অনলাইন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কিছু লোক আমার পদত্যাগ দাবি করছেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমি পদত্যাগ করলে কি পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। পদত্যাগ করা এক সেকেন্ডের বিষয়।

আজ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে ব্যবসায়ীদের করণীয় শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি বছর ১ লাখ টন পেঁয়াজ বাহির থেকে নিয়ে আনা হয়। তবে হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় এবার মাত্র ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমাদের দেশে আসছে। ঘাটতি সামাল দিতে মিয়ানমারসহ বেশ কিছু দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম স্বাভাবিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ বড় করার পর তারা উদ্যোগী হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে এস আলমের প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।’

কোনো মুনাফা ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি করে দেওয়ায় সিটি, মেঘনা ও এস আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের পেঁয়াজের খরচ পড়েছে কেজিপ্রতি সাড়ে ৪২ টাকা। এপেঁয়াজ টিসিবিকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে অনেকে আমদানি করছে, সেটাতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এই মুনাফালোভীদের মূল্যবোধ সংকটের সময়ও জাগ্রত হয় না।

তিনি বলেন, আগামী তিন বছরে পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ পেঁয়াজে স্বাবলম্বী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি আমি নিজে বন্ধ করে দিবো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে। মানুষের মধ্যে ঝোঁক নেই। কারণ সবাই দেশকে ভালোবাসে। তিনি বলেন, ৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ ২৫০ টাকা হয়েছে। আশপাশের দেশেও দাম ১২০ কাটার কাছাকাছি। তবে দেশে ২৫০ টাকা হওয়ার কারণ নেই।

আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যসচিব আবদুছ সাত্তার বলেন, এশ্রেণির মুনাফাখোরের উন্নয়ন দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাদের লক্ষ্য কীভাবে সরকারকে ঠেকানো যায়। বাজার খারাপ করে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা বলেন, কেউ যদি সরকারকে বিপাকে ফেলতে মূল্য বাড়ায়, তাহলে ব্যবস্থা নিন। আমরা আন্দোলন করব না। তবে যৌক্তিক হতে হবে।

শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম বলেন, এবার মৌসুমের শেষ দিকে বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছিল। ফলে কৃষকেরা ঘরে মাচা করে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, গুদামে পেঁয়াজ রাখা যায় না। তিন দিন পরই পচন ধরে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ, শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যসচিব আবদুছ সাত্তারসহ এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন পরিচালক, বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতারা।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন