ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এলেও ভর্তুকি ও কর রেয়াত সুবিধায় বিকৃতির কারণে সে সুফল সবাই পাচ্ছে না। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হতে হলে প্রবৃদ্ধি ও সুশাসন অপরিহার্য।
গতকাল রাজধানীর লেকশোর হোটেলে দুই দিনব্যাপী ‘বিআইডিএস রিসার্চ অ্যালমানাক-২০১৯’-এর সমাপনী দিনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. কেএএস মুরশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। প্যানেল আলোচক ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা ড. রিজওয়ানুল ইসলাম।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রবৃদ্ধির ফল অনেকটাই হুমকির মধ্যে। বৈষম্যের কারণে প্রবৃদ্ধির ঢেউ সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না। ভর্তুকি, কর রেয়াতসহ সরকারের বিভিন্ন সুবিধা বিতরণে বিকৃতি রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত প্রবৃদ্ধি হলে নানা আশঙ্কা থাকে। বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। এখানে সরকারের অনেক কিছু করার আছে। কীভাবে ফাঁকফোকর বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আপনারা পরামর্শ দেবেন।
প্রবৃদ্ধি উন্নয়নের একমাত্র মাপকাঠি নয়, এমন মন্তব্য করে ড. রিজওয়ানুল ইসলাম বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফলতা আছে যদিও সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক ও ধাঁধা আছে। তবে অর্থনীতিতে ছয়টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো টেকসই প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত পরিবর্তনের শ্লথগতি, আয়বৈষম্য বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমে আসা এবং প্রযুক্তি, উৎপাদনশীলতা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা।
তিনি বলেন, সাম্যের সঙ্গে প্রবৃদ্ধি হওয়াটাই বড় কথা। প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা ভারতের সঙ্গে পার্থক্য কমিয়েছি, পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছি। কিন্তু ভিয়েতনাম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হতে হবে বিনিয়োগ। কিন্তু শিল্প ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়লেও বেসরকারি বিনিয়োগ এখনো স্থবির। অর্জনের কোথায় ঘাটতি আছে সেটা স্বীকার করে নিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এটাই প্রত্যাশা।
এ সময় জাইদী সাত্তার বলেন, প্রবৃদ্ধির কৌশলে বাণিজ্যনীতি অনেকটাই ‘মিসিং’ (অনুপস্থিত)। আমরা এখ?