নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সাময়িক পুনর্বাসন করতে চাইছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে জাতিসংঘ চাইছে, তাদের সেখানে পুনর্বাসনের আগে পরিস্থিতি যাচাই করতে। এ অবস্থায় চলতি মাসেই সেখানে সমীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি কারিগরি দল পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ। পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) এম শহিদুল হক গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান।
এ সময় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রসঙ্গে জাতিসংঘের বিরোধিতা নিয়ে জানতে চাইলে এম শহিদুল হক বলেন, এখানে বিরোধিতা শব্দটি ঠিক নয়। জাতিসংঘ এ ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। সংস্থাটির একটি কারিগরি দল রয়েছে। শিগগিরই এ কারিগরি কমিটির ভাসানচর যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে কিছু জিনিস তারা নিশ্চিত করতে চান। তা নিশ্চিত করার পর ভাসানচরে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জাতিসংঘ বিরোধিতা করছে বিষয়টি ঠিক নয়।
ভাসানচরে জাতিসংঘের কারিগরি দলের সফরের দিনক্ষণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মাসের মধ্যেই হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এখানে আবহাওয়াজনিত একটি বিষয় রয়েছে। মাঝে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কারিগরি দলের সফরটি একটু পিছিয়েছে।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের শর্তাবলি নিয়ে মতানৈক্যের বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, টার্ম অ্যান্ড রেফারেন্স নিয়ে মতানৈক্যর বিষয়টি ঠিক নয়। জাতিসংঘের কারিগরি দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তারা তাদের বিষয়গুলো বলেছেন, কী দেখতে চান। আমরা তাদের বিষয়গুলোয় একমত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের পরিবর্তে গাম্বিয়ার নেতৃত্বদান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আবেদনটি গাম্বিয়া করেছে। ফলে আদালতে গাম্বিয়া এর নেতৃত্ব দেবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আইসিজেতে (জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস) গাম্বিয়ার যে আবেদন, তা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পক্ষ থেকে। ওআইসির সংশ্লিষ্ট কমিটির কো-চেয়ার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত। আইসিসি (নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) বিষয়টি সুয়োমোটো হিসেবে আদালতে এনেছিল। আইসিসি আমাদের কাছে মতামত চেয়েছে। আমরা মতামত দিয়েছি। বাংলাদেশে কাজ পরিচালনা নিয়ে আমাদের সঙ্গে আইসিসির একটি সমঝোতা হয়েছে।
এম শহিদুল হক বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের যা যা করার