এক মৌসুমের জন্য বার্সেলোনা থেকে বায়ার্ন মিউনিখে ধারে খেলতে পাঠানো হয়েছে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ফিলিপ্পে কুতিনহোকে। চার মাসেই তিনি বাভারিয়ান ক্লাবটির প্রেমে পড়ে গেছেন। ২৭ বছর বয়সী খেলোয়াড় বলেছেন, জার্মান ক্লাবটিতেই থেকে যেতে চান।
নেইমারের শূন্যস্থান পূরণে কুতিনহোকে লিভারপুলের কাছ থেকে উচ্চদামে কেনা হলেও তিনি কাতালান ক্লাবটির প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হন। তাই দেড় মৌসুম পরই তাকে বিক্রি করতে মরিয়া হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলে বিক্রিতে ব্যর্থ হওয়ার পর এক মৌসুমের জন্য বায়ার্নে ধারে পাঠানো হয়। হতাশা কাটিয়ে ওঠার পর জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে বেশ ভালোই খেলছেন তিনি। ক্লাবটিতে এখন স্থায়ীভাবেই থেকে যেতে চান। এখন দেখার বিষয়, তাকে রেখে দেয় কিনা জার্মান জায়ান্টরা।
চলতি মৌসুমে বায়ার্নের ফর্ম বেশ অধারাবাহিক। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দিয়ে তিনি নজর কাড়তে সমর্থ হন। বুন্দেসলিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন গোল করার পাশাপাশি তৈরি করে দিয়েছেন আরো পাঁচ গোল। ফর্মে উন্নতি করায় এখন তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসীও।
অবশ্য কুতিনহোর আশা পূরণ নাও হতে পারে। তাকে কিনতে অনেক অর্থ লাগবে। আগামী গ্রীষ্মে ধার চুক্তি শেষ হয়ে গেলে কুতিনহোকে স্থায়ীভাবে কিনতে হলে বায়ার্নের গুনতে হবে ১২০ মিলিয়ন ইউরো। এত বেশি ফি দিয়ে খেলোয়াড় কেনার ইতিহাস বায়ার্নের নেই। গত মৌসুমে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ফরাসি ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্দেজকে ৮০ মিলিয়ন ইউরোয় কিনেছে বাভারিয়ানরা, যা ক্লাব রেকর্ড ফি। তাদের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল খেলোয়াড়ের ফি এর প্রায় অর্ধেক! অর্থাৎ লুকাসকে কেনার আগ পর্যন্ত দলবদলের বাজারে বেশ রক্ষণশীল মানসিকতাই ধরে রাখে জার্মান ক্লাবটি। লুকাসের মধ্য দিয়ে কি তারা এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসবে? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী গ্রীষ্মের দলবদলেই।
বায়ার্ন কী করবে, তা একান্তই তাদের ব্যাপার। তবে কুতিনহো নিজের ইচ্ছাটা প্রকাশ করলেন। তার কথায়, ‘আমি এখানে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করছি। পরিকল্পনা করেছি, এখানে নিজের খেলায় মনোযোগ দেব। যদি সবকিছু ঠিকমতো এগোয়, তবে আমি এখানেই থেকে যেতে চাইব।’ গত শনিবার বুন্দেসলিগায় নিজেদের মাঠে বেয়ার লেভারকুসেনের কাছে ১-২ গোলে হেরে বসেছে বায়ার্ন। এতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান থেকে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। স্পোর্টস মেইল