জাপানের আর্থিক প্রতিষ্ঠান নমুরার বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। খবর সিএনবিসি।
একটি প্রতিবেদনে নমুরার বিশ্লেষকরা বলছেন, যে দেশগুলো খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে, তারা বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষুদ্র অংশ হলেও বৈশ্বিক জনসংখ্যার বড় অংশের বসবাস সেখানে। তাই ক্রমাগত খাদ্যের মূল্য বাড়তে থাকলে হয়তো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে না, তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে মানবিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যাংকটি বলছে, তাদের তালিকায় থাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৫০টি দেশ বৈশ্বিক জিডিপির মাত্র ২৬ দশমিক ১ শতাংশ, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে চারটি ছাড়া বাদবাকি দেশগুলো উন্নয়নশীল অর্থনীতি।
আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে নমুরা বলছে, এ অঞ্চলের দেশগুলোয় মাথাপিছু জিডিপির হার কম, পারিবারিক ব্যয়ের অধিকাংশ যায় খাদ্য কিনতে, এরা বিপুল পরিমাণে খাদ্য আমদানি করে। ব্যাংকটি আরো বলছে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই যুদ্ধবিধস্ত এবং চরম দরিদ্রতায় ভুগছে।
নমুরা ফুড ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স অনুসারে ক্রমাগত খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ পাঁচ দেশ হলো লিবিয়া, তাজিকিস্তান, মন্টেনিগ্রো, সিরিয়া ও আলজেরিয়া।
এসব দেশের মানুষ নিজেদের আয়ের একটি বড় অংশ ব্যয় করে খাদ্য, নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার পেছনে। এ অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি পেলে খাদ্যের পেছনে তাদের আরো বেশি ব্যয় করতে হবে; এর ফলে অন্যান্য প্রয়োজনের পেছনে ব্যয় কমাতে হবে অথবা বন্ধ করে দিতে হবে।
যেমন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যানুসারে, লিবিয়া নিজেদের জিডিপির ৯ দশমিক ১ শতাংশ খাদ্য আমদানি করতে ব্যয় করে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড (খাদ্য মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি) যে পরিমাণ খাদ্য রফতানি করে, তার মূল্যমান জিডিপির ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
এফএওর ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুসারে লিবিয়ার ২২ শতাংশ মানুষ শস্য আবাদ বা পশুপালনের মতো কৃষিকাজে জড়িত; কিন্তু তারা যা উৎপাদন করে, তার প্রায় পুরোটা তারাই ভোগ করে। এর পরও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি লিবিয়ার মানুষদের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে এবং ভবিষ্যতের যেকোনো ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সহায়তা করবে।
এফএও বলছে, এটি ব্যক্তি-পরিবার বা সার্বিকভাবে লিবিয়ার জন্য প্রযোজ্য। এ দেশটির কৃষি খাতে স্থবিরতা বজায় রয়েছে এবং খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এর ফলে কয়েক বছর ধরে সেখানে
- তাইওয়ানে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
- যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ৪
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশী তরুণ নিহত
- মেরু অঞ্চলের বরফ গলায় ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন
- টাইটানিকের রোজকে বাঁচানো সেই ভাঙা দরজা ৭ লাখ ডলারে বিক্রি
- মিস ইউনিভার্সে প্রথমবার সৌদি নারী