অবকাঠামো ও নির্মাণ খাতের জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ইস্পাত। গাড়ি শিল্পের বিকাশেও ধাতুটির রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। কিন্তু বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব ও বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতির প্রভাব পড়েছে ব্যবহারিক ধাতুটির ওপর। চাহিদা হ্রাসের জেরে বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কমেছে ইস্পাতের। চলতি বছরের অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী ইস্পাতের উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউএসএ) মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও মাইনিং ডটকম।
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইস্পাতের বৈশ্বিক বাজার নিয়ে কাজ করছে ডব্লিউএসএ। সংস্থাটি প্রতি মাসে ইস্পাতের উৎপাদন তথ্য প্রকাশ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ৬৪ দেশের উৎপাদন তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে। গত বছর বৈশ্বিক মোট উৎপাদনের ৯৯ শতাংশই এসেছে এ দেশগুলো থেকে। সম্প্রতি চলতি বছরের অক্টোবরে ধাতুটির বৈশ্বিক উৎপাদন তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী ইস্পাতের উৎপাদন ছিল ১৫ কোটি ১৫ লাখ টনের মতো। তবে প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) উৎপাদন বেড়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত এর আগের মাসগুলোয় ধাতুটির শীর্ষ উৎপাদক চীনে বড় আকারে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হওয়ায় মোট উৎপাদন বেড়েছে।
তবে টানা কয়েক মাস উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হলেও অক্টোবরে চীনের উৎপাদন কমেছে। এ মাসে দেশটির উৎপাদন দশমিক ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ টনের মতো। মূলত চীনা প্রজাতন্ত্রের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ মাসে দেশটির উৎপাদন কিছুটা কমিয়ে আনা হয়। ফলে অক্টোবরে দেশটির উৎপাদন কমতির দিকে ছিল। এছাড়া চলতি বছরের মার্চেও শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে উৎপাদন কমেছিল চীনের। তবে অন্য মাসগুলোয় উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে গত ১০ মাসে দেশটির উৎপাদন বেড়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময় দেশটি মোট ৭৪ কোটি ৬০ লাখ টনের মতো ইস্পাত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে, যা বৈশ্বিক মোট উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি।
অন্যদিকে গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। এ সময় দেশটির উৎপাদন ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ লাখ টনে। তবে উৎপাদন কমলেও চলতি বছর দেশটিতে ধাতুটির বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে চীন দেশটিতে ইস্পাত রফতানি করতে পারছে না। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজার চাঙ্গা করতে ওয়াশিংটন ইস্পাত আমদানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং চালু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি উৎপাদন কমেছে ইস্পাত উৎপাদনের অন্যতম অঞ্চল ইউরোপীয় ইউনিয়নেও (ইইউ)। অক্টোবরে এ অঞ্চলের দেশগুলোর উৎপাদন ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। আর গত ১০ মাসে ইইউর উৎপাদন ৩ দশমিক ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ২০ লাখ টনে।
তৃতীয় শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ভারতে এ সময় উৎপাদন কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অক্টোবরে দেশটির মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৯১ লাখ টনে। তবে গত ১০ মাসে ভারতের উৎপাদন বেড়েছে ৩ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে দেশটি ৮ কোটি ৪২ লাখ টনের মতো ইস্পাত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে 
