ঢাকার ৬৪ স্থানে মিলবে পার্কিং সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার ৬৪টি স্থান অনস্ট্রিট পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের পাশে এসব পার্কিং স্পট চিহ্নিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গতকাল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) বোর্ডসভায় এগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। আপাতত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পার্কিং স্পটগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে।

পার্কিং স্পটগুলোকে ঢাকার চারটি ট্রাফিক বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ট্রাফিক উত্তর বিভাগে পড়েছে ২৮টি অনস্ট্রিট পার্কিং স্পট। ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগে সাতটি, পশ্চিম বিভাগে তিনটি বাকি ২৬টি অনস্ট্রিট পার্কিং পড়েছে ট্রাফিক পূর্ব বিভাগে। এর বাইরে উত্তরার চারটি স্পটে অনস্ট্রিট পার্কিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল ডিএমপি। তবে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে এগুলো পার্কিংয়ের জন্য উপযোগী নয় বলে মত দেয় ডিটিসিএ।

গতকাল ডিটিসিএর কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের ১৩তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনস্ট্রিট পার্কিং স্পটগুলো অনুমোদন দেয় ডিটিসিএর পরিচালনা পর্ষদ। একই সভায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে বাস-বে নির্মাণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে সুবিধামতো স্থানে ছোট আকারের সিটি ফরেস্ট নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে।

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৪৭ ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত এলাকা ব্যতীত মোটরযান পার্কিংয়ের সুযোগ নেই। একইভাবে যাত্রী বা পণ্য ওঠানামার নির্ধারিত স্থান সময় ছাড়া মোটরযান থামানো যাবে না। ধারা লঙ্ঘনের শাস্তি চালকের অনধিক হাজার টাকা জরিমানা ড্রাইভিং লাইসেন্সের পয়েন্ট কর্তন। গত নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকরের পর থেকেই গণপরিবহন মালিক-চালক-শ্রমিকদের অন্যতম দাবি ছিল, ঢাকায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত স্থান নির্ধারণ করে দেয়া।

ডিটিসিএর গতকালের বোর্ডসভায় ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো পর্যায়ক্রমে নগরীর বাইরে সরিয়ে নিতে স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কাজ এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জন্য একটি ব্যাপকভিত্তিক পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লক্ষ্যে শিগগিরই প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু হবে। এছাড়া আদমজী লেকের বর্তমান অবস্থা অব্যাহত রেখে সড়ক জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর কর্তৃক সড়ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজি এবং অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ কার্যক্রম কিছুটা থেমে ছিল। আবার পুরোদমে এসব কাজ শুরু হবে। মহানগরীর যেসব স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইক চলাচল করছে, সেসব এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে ডিটিসিএ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। রাজউক থেকে ভবনের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও ডিটিসিএর ক্লিয়ারেন্স লাগবে।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন উত্তরের আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন