আরেকটি বড় হারের শঙ্কায় পাকিস্তান। অ্যাডিলেডে গতকাল ৩ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন মাঠ ছাড়া পাকিস্তানকে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই করতে হবে আরো ২৪৮ রান! তবু দিনটি পাকিস্তানের। অস্ট্রেলিয়া সফরে এই প্রথম কোনো দিন পূর্ণ কর্তৃত্ব করল অতিথিরা। গতকাল অ্যাডিলেড ওভালের নায়ক ইয়াসির শাহ। অবশ্য এদিন বল হাতে নয়, তিনি নায়ক ব্যাট হাতে। তার লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর দিয়েই প্রথম ইনিংসে ৩০০ পেরোনো সংগ্রহ পায় সফরকারী দলটি। এর পরও ফলোঅনের লজ্জা এড়াতে পারেনি এশিয়ার দলটি।
৬ উইকেটে ৯৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান যে ৩০২ রান পর্যন্ত যেতে পারবে, তা দলটির পাঁড় সমর্থকও হয়তো আশা করেননি। কিন্তু অ্যাডিলেডের দর্শকদের চমকে দিয়ে সেটাই করে দেখালেন ইয়াসির ও বাবর আজম। এ দুজন মিলে ১০৫ রান যোগ করেন, যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে পাকিস্তানের রেকর্ড। বাবর ১৩২ বলে ৯৭ রানের রাজসিক ইনিংস খেলে তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে ইয়াসির হতাশ করতে থাকেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্সদের। তাদের একের পর এক গতির বল মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন অবলীলায়। বাবরের বিদায়ের পর মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ইয়াসির, যার মধ্যে ৫৭ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। ব্যক্তিগত ১১৩ রানে কামিন্সের শিকার হওয়ার আগে মোহাম্মদ মুসাকে নিয়েও দশম উইকেটে বোর্ডে ২১ রান যোগ করেন ইয়াসির।
অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক ৬৬ রানের খরচায় তুলে নেন ৬ উইকেট নেন। প্যাট কামিন্স ৮৩ রানে নেন তিন উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও অধিনায়ক আজহার আলীকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক। তার আগে ও পরে ইমাম-উল-হক ও বাবরকে ফেরান হ্যাজেলউড। ২০ রানে তিন উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টানছিলেন শান মাসুদ (১৪*) ও
আসাদ শফিক (৮*)। আলোকস্বল্পতায় অন্তত ১৫ ওভার আগেই দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান শিবির।
নবম পাকিস্তানি হিসেবে আটে নেমে সেঞ্চুরি পেলেন ইয়াসির। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ১১৩ রান করে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন কামরান আকমল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আটে নেমে সেঞ্চুরি করলেন এ নিয়ে সাতজন। এর আগে ২০১৭ সালে রাঁচিতে ১১৭ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের ঋদ্ধিমান সাহা।
ক্রিকইনফো
