প্রস্তুতি শুরুর আগেই চরমপত্র দিয়ে কোচ বদলের দাবি ওঠে ব্যাডমিন্টনে। পরে জনাকীর্ণ পরিবেশে কোচ এনায়েত উল্লাহ খান ও এক নারী শাটলার পরস্পরের দিকে তেড়েও যান। এসব জটিলতার প্রতিফলন ঘটল এসএ গেমসের কোর্টে। এ ইভেন্টে নেপালের কাছে হার দিয়ে মিশন শুরু হলো বাংলাদেশের!
এ হারের অর্থ নারী ব্যাডমিন্টনে পদকের সম্ভাবনা প্রায় শেষ। নিভু নিভু প্রদীপ হয়ে জ্বলছে সম্ভাবনার প্রদীপ। পদক জিততে হলে দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচে হারাতে হবে গত আসরের রুপাজয়ী শ্রীলংকাকে। বড় অঘটন না ঘটলে ২০১৬ সালে ব্রোঞ্জজয়ী দল এবার হয়তো ফিরবে খালি হাতে।
পোখারায় এলিনা সুলতানা ২৬-২৮ ও ১৯-২১ পয়েন্টে রাশিলা মহারজনের কাছে হারেন। জেসিকা গুরুংয়ের কাছে বৃষ্টি খাতুনের হার ১৭-২১ ও ২০-২২ পয়েন্টে। ২১-১৮ পয়েন্টে প্রথম সেট জয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জেগেছিল। কিন্তু পারেননি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাপলা আক্তারও। পরের দুই সেট হারেন ১৫-২১ ও ১৭-২১ পয়েন্টে।
‘গেমসের জন্য আমাদের যে প্রস্তুতি, সে তুলনায় সবাই ভালো খেলেছে। প্রস্তুতি ভালো হলে কোনো ম্যাচই আমরা হারতাম না’— নেপালের
পোখরা থেকে বণিক বার্তাকে বলেন শাপলা আক্তার। যোগ করেন, ‘ম্যাচ
চলাকালে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। বারবার টাইম-আউট চাইলেও আম্পায়ার আমাদের তা দেননি। লাইন-জাজদের সিদ্ধান্তগুলোও ছিল দৃষ্টিকটু, পক্ষপাতমূলক।’ দলগত ইভেন্টে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এবার ব্যক্তিগত ইভেন্টের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে নারী শাটলারদের।
মেয়েদের ব্যাডমিন্টনে হারের দিনে এ ইভেন্টে ছেলেরা পাকিস্তানের কাছে সরাসরি ৩-০ ব্যবধানে হেরে গেছে। সালমান খান ১৮-২১ ও ১৪-২১ পয়েন্টে জাহিদ ওয়াইজের কাছে হারেন। সৈয়দ মোহাম্মদ সিবগাত ১৭-২১ ও ১৭-২১ পয়েন্টে তাহির মুকিতের কাছে হারের পর গৌরব সিংহ ১১-২১ ও ২০-২১ পয়েন্টে হারেন আলী মুরাদের কাছে। কীর্তিপুরে খো খো ইভেন্টে ছেলে ও মেয়েদের দুই বিভাগেই নেপালের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ছেলেদের হার ২১-১৯ পয়েন্টে। মেয়েরা হেরেছে ১১-৯ পয়েন্টের ব্যবধানে। ২০১৬ সালে দুই বিভাগেই ফাইনাল খেলা বাংলাদেশ এবার বিপর্যয় দিয়েই শুরু করল।
হারের দিনে ব্যতিক্রম কিছু করতে পারল না ভলিবল দলও। ছেলেদের বিভাগে পাকিস্তানের কাছে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হেরেছে সরাসরি ০-৩ সেটে। প্রথম সেটে ১৫-২৫ পয়েন্টে হার। দ্বিতীয় সেটে হার ২১-২৫ পয়েন্টে। তৃতীয় সেটে হার হয়েছে ২৪-২৬ পয়েন্টে।