যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্থানে না গিয়ে একটি কক্ষেই ভর্তির সব কার্যক্রম শেষ করা হচ্ছে। গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে প্রথমবারের মতো ‘এ’ ইউনিটে উত্তীর্ণদের এ পদ্ধতিতে ভর্তি করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় ভর্তির এ কার্যক্রম পরিদর্শনে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, যারা ভর্তি হচ্ছে তারা নবীন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু তারা ঠিকমতো চেনে না। ভর্তির জন্য তাদের ডিন অফিস-ব্যাংক-মেডিকেল সেন্টার-হল-রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হয়। এসব অফিস ভিন্ন ভবনে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগ লাঘবে ‘ওয়ানস্টপ সার্ভিস’ পদ্ধতিতে একটি কক্ষেই ভর্তির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। সবক’টি ইউনিটে এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যবিপ্রবিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় পাঁচটি ধাপে। প্রথম ধাপে ডিন অফিসে গিয়ে বিভাগ চূড়ান্তের পর ফরম পূরণ করতে হয়। দ্বিতীয় ধাপে পে-ইন স্লিপ পূরণ করে তা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এরপর তৃতীয় ধাপে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে হয়। চতুর্থ ধাপে মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করে সনদ নিতে হয়। পঞ্চম ধাপে সব কাগজ জমা দিতে হয় রেজিস্ট্রার দপ্তরে। ফলে নবীন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভবনে এসব কাজ শেষ করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তেন।
শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগ লাঘবে ডিন অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের শাখা, প্রভোস্ট অফিস, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার অফিস ও রেজিস্ট্রার অফিস গ্যালারিতে অস্থায়ীভাবে অফিস খুলেছে। ফলে একজন শিক্ষার্থী গ্যালারিতে বসে একবারেই ভর্তির সব কার্যক্রম শেষ করতে পারছেন।
আজ ‘বি’ ইউনিট, আগামীকাল ‘সি’ ইউনিট, ৪ ডিসেম্বর ‘ডি’ ও ‘এফ’ ইউনিট এবং ৫ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটে উত্তীর্ণদের মেধাতালিকার ক্রম অনুযায়ী এ পদ্ধতিতেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://just.edu.bd/) দেয়া
আছে।