শেষ হলো আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা

উন্নয়নকে টেকসই ও বেগবান করতে কর জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে

শেষ হলো ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেয়ার সময়। তবে যারা নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দিতে পারেননি, তাদের সব শেষ হয়ে গেল, তা নয়। নির্ধারিত করের ওপর মাসে শতাংশ হারে সুদ দিলেই কর কর্মকর্তারা রিটার্ন জমা নিয়ে নেবেন। দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো। কোনো একটি দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ সহজভাবে দেখানো হয় কর জিডিপি অনুপাত দিয়ে। যাতে প্রতিফলিত হয় অর্থনীতির স্বাস্থ্য এমনকি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখাও। আমাদের বাস্তবতা হলো, আনুপাতিক হার হিসাব করলে বাংলাদেশের রাজস্ব হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশের কর জিডিপি অনুপাত এখনো দুই অংকের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। গত ১০ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়লেও অর্থাৎ থেকে শতাংশে উন্নীত হলেও কর জিডিপি অনুপাত শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়েনি। অথচ ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে এটি ১৩ শতাংশে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। জাতীয় কর দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানও বলেছেন, উন্নয়ন চাইলে কর জিডিপির অনুপাত বাড়াতে হবে।

আমাদের দেশে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কর প্রদানের আইনি জটিলতা দূর কর ব্যবস্থা সহজ করা এবং জনগণের করের টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে করের অনুপাত যে বাড়বে, তা নিশ্চিত করে বলা যায়। শুধু নতুন করদাতা খুঁজে বের করলেই হবে না, একই সঙ্গে তাদের ফাইলগুলো অব্যাহতভাবে তদারকির মধ্যে রাখতে হবে। স্থানীয় কর কার্যালয়কে দক্ষ করে তুলতে হবে। জরিপ পরিচালনার পাশাপাশি জনগণকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগও নেয়া দরকার। অবৈধ অর্থ নামমাত্র করের বিনিময়ে বৈধ করার সুযোগ দিলে মানুষ উচ্চহারে কর প্রদানে উৎসাহিত হয় না। ফলে অবৈধ অর্থ বৈধকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কর প্রদানে উৎসাহিত করতে একটি আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে নিয়মিত কর পরিশোধকারীরা অধিক সুবিধা পাবেন। নতুন করদাতা খুঁজে বের করতে আয়কর মেলা গত কয়েক বছরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর সময়সীমা পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শুধু জরিপের মাধ্যমে করজালে নতুন করদাতাদের আটকানো যায় না। নতুন করদাতার সংখ্যা বাড়াতে প্রক্রিয়া সহজীকরণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনা দরকার।

অর্থনীতির আকার বাড়ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়াতে হবে সরকারি বিনিয়োগ। এজন্য সরকারের আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে রাজস্ব একটি বড় খাত। এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি কমিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে অনেকে কর প্রদানে উৎসাহী হবেন। লক্ষ্যে আয়কর আইন সংস্কার, প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, আধুনিক ব্যবস্থা চালুসহ নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। এনবিআর কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার এনেছে এবং কিছু প্রক্রিয়াধীন। সেগুলো শেষ করতে উদ্যোগ নিতে হবে। করের আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সারা দেশেগ্রোথ সেন্টারঅনুসন্ধান গবেষণা করছে এনবিআর। গ্রোথ সেন্টারের মাধ্যমে এনবিআরের তালিকায় নতুন করদাতা যুক্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও নতুন করদাতা খুঁজে বের করার কার্যক্রম

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন