বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরীক্ষার খাতা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই মূল্যায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য কলেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। বোঝা তো তারা যাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই, কিন্তু নেতিবাচক কাজে জড়িত।
আজ রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীতে ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি (এনএএএনডি)’ শীর্ষক এক বিভাগীয় সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর আয়োজন করে। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন অটিজম-সংক্রান্ত স্কুলের ৪০০ জন শিক্ষক অংশ নেন।
দীপু মনি বলেন, একবার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে ফের করানো হয়েছিল। পরে খাতাটা অন্য শিক্ষক দেখার পর সে পাশ করেছে। সমস্যা ছিল লেখাটা একটু অন্য রকম হওয়ার কারণে প্রথম শিক্ষক বুঝতে পারেনি। যে কারণে তাদের খাতাকে মূল্যায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু কোনো না কোনো প্রতিভার অধিকারী। আমাদের একটু মনোযোগ আর সহায়তা পেলে তারাও নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে। আর আমাদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকতে হবে। বিশেষ করে এই শিশুদের শিক্ষকদের তাদের ব্যাপারে আন্তরিক থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন ও রাজশাহীর আনন্দ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহীন আক্তার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ ড. মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন এনএএডি প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ দিদারুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অটিজম ও এনডিডি-বিষয়ক মাস্টার ট্রেইনার ড. ডিএম ফিরোজ শাহ।
