আনিস এ খান। ১৯৮২ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে। ১০ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) শীর্ষ নির্বাহীর পদে। বয়সসীমা ৬৫ শেষ হওয়ায় দীর্ঘ ৩৭ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শেষ করেছেন গতকাল। জীবনের প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি ও এমটিবিসহ ব্যাংকিং খাতের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাছান আদনান
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রাপ্তিগুলো কী?
প্রাপ্তি অফুরন্ত।
আল্লাহর কাছে
অনেক শুকরিয়া
আদায় করি।
স্বভাবগতভাবে মানুষ
সাধারণত তুষ্ট
হয় না।
কিন্তু আমি
পূর্ণাঙ্গ তৃপ্ত
ও সন্তুষ্ট
একজন মানুষ।
সারা জীবন
আমি যা
পেয়েছি তা
কোনো ভাষা
বা সংখ্যায়
প্রকাশ করা
সম্ভব নয়।
মানুষের কাছ
থেকে যে
ভালোবাসা পেয়েছি,
জীবনের বাকি
সময়ে তার
প্রতিদান দিতে
চাই। যতক্ষণ
আমার মস্তিষ্ক
সচল থাকে,
ততক্ষণ পর্যন্ত
আমি ভালোবাসার
প্রতিদান দেয়ার
প্রতিজ্ঞা করছি।
ব্যাংক ছাড়াও
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,
চেম্বারসহ বিভিন্ন
সংস্থায় যখনই
কোনো দায়িত্ব
পেয়েছি, চেষ্টা
করেছি সততা
ও একাগ্রতার
সঙ্গে কাজ
করার। মানুষ
হিসেবে আমার
মধ্যেও নিশ্চয়
কিছু দুর্বলতা
আছে, সেগুলোর
জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং সেই পরিচয় ধরে রাখার কাজটি অনেক কঠিন। কিন্তু সারা জীবন আমি যত মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি, তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ধরে রাখতে পেরেছি। যেকোনো সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়, সেটি আমি করি। এখনো নিয়ম করে সারা পৃথিবীতে পরিচিত মানুষজনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আমি মনে করি, যেকোনো মানুষের জন্মদিনই তার জন্য সবচেয়ে উত্তম দিন।