সাফা সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের দায়িত্বশীল হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পাবলিক করপোরেট খাতে হিসাবের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। তিনি গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত সাফা আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ: গন্তব্য বাংলাদেশ

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সম্মানিত অতিথি ছিলেন দ্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (সাফা) প্রেসিডেন্ট . পিভিএস জগন মোহন রাও। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তাছাড়া সম্মেলনে আইসিএবির প্রেসিডেন্ট এএফ নেসারউদ্দিন এবং সম্মেলন আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান ধারাকে টেকসই বেগবান করতে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সব সেবা দ্রুততম সময়ে এবং সিঙ্গেল উইন্ডো থেকে দেয়ার লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস আইন, ২০১৮ এবং -সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। শিল্প স্থাপনের লাইসেন্স, অনুমতি, পারমিটসহ ২৭টি ক্যাটাগরিতে ১২৫ ধরনের সেবাওয়ান স্টপ সার্ভিসথেকে দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া কর রেয়াতসহ অন্য নানা রকম সুবিধা সরকার বিনিয়োগকারীদের দিচ্ছে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ বিরাজ করছে।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আয়তন আজ বহুগুণে বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। তাই পাবলিক করপোরেট খাতে হিসাবের স্বচ্ছতা জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের রফতানির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ভিয়েতনাম আমাদের তুলনায় রফতানিতে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ অল্প কিছু খাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ, এটিকে আরো বাড়াতে হবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প এবং বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য চার ধরনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে  তুলছে। অবশ্য আমাদের রফতানির ৮৫ শতাংশই বস্ত্র খাতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিষয়টি একটি ঝুঁকি তৈরি করেছে। এজন্য সরকার রফতানি খাতকে আরো বৈচিত্র্যময় করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

আইসিএবির প্রেসিডেন্ট এএফ নেসারউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বব্যাপী কমলেও বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। আমাদের এখানে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা কর ছাড় সুবিধা রয়েছে।

সাফার প্রেসিডেন্ট . পিভিএস জগন মোহন রাও বলেন, যেকোনো দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন