চলতি বছর চট্টগ্রাম জেলা থেকে ১৮ হাজার ৪৯৮ টন ধান কিনবে সরকার। প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার কৃষকের কাছ থেকে এ ধান সংগ্রহ করবে খাদ্য অধিদপ্তর।
এদিকে ধান কেনায় যাতে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয়, সেজন্য কৃষকের তালিকা তৈরি করেছে চট্টগ্রাম কৃষি অধিদপ্তর।
চট্টগ্রামের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের মাঠ পর্যায়ে যারা আমন ধান উৎপাদন করছেন, তাদের মধ্যে থেকে জরিপ চালিয়ে প্রান্তিক কৃষকের একটি তালিকা উপজেলাভিত্তিক ধান ক্রয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫টি উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৪৯৮ টন ধান ক্রয় করা হবে। এর মধ্যে সন্দ্বীপ থেকে ২ হাজার ৪৩৭ টন, মিরসরাই থেকে ২ হাজার ৮৯ টন, ফটিকছড়ি থেকে ২ হাজার ২২৭ টন, রাঙ্গুনিয়া থেকে ১ হাজার ৫৪৫ টন, বাঁশখালী থেকে ১ হাজার ৫১৯ টন, রাউজান থেকে ১ হাজার ১৭০ টন, লোহাগাড়া থেকে ১ হাজার ১০৩ টন, পটিয়া থেকে ১ হাজার টন, হাটহাজারী থেকে ৯৫৮ টন, চন্দনাইশ থেকে ৮৩৪ টন, আনোয়ারা থেকে ৭০৬ টন, সীতাকুণ্ড থেকে ৬১১ টন, বোয়ালখালী থেকে ৪৫৭ টন, কর্ণফুলী থেকে ৩৬১ টন, নগরীর পাঁচলাইশ থানা থেকে ১১২ টন, পতেঙ্গা থানা থেকে ৭৩ টন এবং ডাবলমুরিং থেকে ৪২ টন আমন ধান সংগ্রহ করা হবে।
চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনবে সরকার। এছাড়া ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ সংগ্রহ করা হবে। গত ২০ নভেম্বর থেকে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ চাল সংগ্রহের প্রক্রিয়া আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। তবে চট্টগ্রামে এখনো ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় মোট কৃষক প্রায় ছয় লাখ। তবে সবাই ধান চাষ করেন না, যার কারণে প্রাথমিকভাবে যারা ধান চাষ করেন, এমন প্রায় ৫০ হাজার চাষীর একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সরকার তিন ধরনের চাষীর কাছ থেকে এ ধান সংগ্রহ করবে। এর মধ্যে মোট সংগৃহীত ধানের ৫০ শতাংশ নেয়া হবে প্রান্তিক চাষী থেকে। মাঝারি চাষী থেকে ৩০ শতাংশ এবং ধনী চাষীদের কাছ থেকে ২০ শতাংশ ধান সংগ্রহ করবে সরকার
