এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্র গমনেচ্ছুদের কাছে এইচ-১বি ভিসা একটি স্বপ্নের নাম। এ ভিসার আওতায় প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তারা স্বপ্নের ভূখণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ৩-১০ বছরের জন্য বৈধভাবে কাজে যুক্ত হতে পারেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের টেক কোম্পানিগুলো এ ভিসার আওতায় সবচেয়ে বেশি বিদেশী কর্মী নেয়। তারা সফটওয়্যার ডেভেলপার, কম্পিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংসহ নানা পদে কাজের সুযোগ পান। দীর্ঘদিন বসবাস ও কাজের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে পরবর্তী সময়ে অনেকেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। মার্কিন সরকারি ভাষ্যে, এইচ-১বি ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও নিউইয়র্কের কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি বিদেশী কর্মী নিয়োগ দেয়। এইচ-১বি ভিসায় সবচেয়ে বেশি বিদেশী কর্মী নিয়োগ দেয়া মার্কিন টেক কোম্পানিগুলো নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনের আজ প্রথম পর্ব—
অ্যাপল
১৯৭৬ সালে যাত্রা হয় মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের। প্রায় সাড়ে চার দশকের যাত্রায় প্রতিষ্ঠানটি টেকজগতে মহীরুহে পরিণত হয়েছে। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্য, টেলিকম যন্ত্রাংশ, বিনোদন; এমন কোনো খাত নেই, যেখানে অ্যাপল ব্যবসা বিস্তার করেনি। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড অ্যাপলের নতুন মডেলের আইফোন কিংবা আইপ্যাডের জন্য মানুষ মুখিয়ে থাকে। অনলাইন বেচাকেনার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অ্যাপলের পাঁচ শতাধিক বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।
২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টেক জায়ান্ট অ্যাপলের রাজস্ব আয় ২৬ হাজার ৫৫৯ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অ্যাপল সবসময় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতন। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে এশীয়, কৃষ্ণাঙ্গ, ক্যারিবীয় নারী-পুরুষ কর্মীর পদচারণা দেখা যায়। ১ লাখ ৩২ হাজার অ্যাপল কর্মীর অধিকাংশই এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
কগনিজেন্ট টেকনোলজি সলিউশনস
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কগনিজেন্ট টেকনোলজি সলিউশনস তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ, প্রযুক্তি-বিষয়ক পরামর্শ প্রদান, অপারেশন্স সার্ভিস প্রদানসহ নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির সদর দপ্তর নিউ জার্সিতে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৬৬ দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর ‘ফরচুন ৫০০’ তালিকায় জায়গা পায়। ২০১৮ সালে কগনিজেন্ট টেকনোলজির রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬১২ ডলার। প্রতিষ্ঠানটিতে ২ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী রয়েছে। এইচ-১বি ভিসার আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ
- ভারতের স্মার্টফোন রফতানি দেড় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
- মেসেজে নতুন ইমোজি ফিচার আনছে গুগল
- মোবাইল অডিওর উন্নয়নে চুক্তিতে ইনফিনিক্স-জেবিএল
- মধ্যপ্রাচ্যে এআই সম্প্রসারণে জোটবদ্ধ মাইক্রোসফট-জি৪২
- চোখের সুরক্ষায় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন যেভাবে
- ওএলইডি টাচস্ক্রিনসহ আসুসের নতুন ল্যাপটপ জেনবুক ডুও