জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের উত্তোলন কমেছে। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বরে জোটটির জ্বালানি তেল উত্তোলন হ্রাসে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে অ্যাঙ্গোলা। দেশটির তেলক্ষেত্রগুলোয় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় উত্তোলন কমেছে। তাছাড়া ওপেকের শীর্ষ উত্তোলক ও রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব জোটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন হ্রাস করায় মোট উত্তোলন কমেছে। রয়টার্সের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে ১৪ দেশের সংগঠন ওপেকের দৈনিক জ্বালানি তেল উত্তোলন ছিল ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল, যা গত অক্টোবরের উত্তোলনের চেয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল কম।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) ঘোষণার আগেই নিজেদের উত্তোলন উল্লেখযোগ্য কমিয়েছে সৌদি আরব। এমনকি গত সেপ্টেম্বরে দেশটির দুটি তেল স্থাপনায় হামলার পর উত্তোলন স্বাভাবিক হলেও চুক্তির চেয়েও অনেক কম উত্তোলন করেছে দেশটি।
এছাড়া নভেম্বরে অ্যাঙ্গোলার দৈনিক উত্তোলন কমেছে ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। আফ্রিকার দেশটিতে নতুন তেলক্ষেত্র অনলাইনে না আসায় প্রাকৃতিকভাবে জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমে যাচ্ছে।
জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে দীর্ঘদিন ধরে উত্তোলন হ্রাস-বৃদ্ধি করে যাচ্ছে ওপেক ও ওপেক বহির্ভূত দেশগুলো মিলে গঠিত ওপেক প্লাস জোট। যার নেতৃত্বে রয়েছে যথাক্রমে সৌদি আরব ও রাশিয়া। জোটটির মধ্যেকার চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত জোটভুক্ত দেশগুলো তাদের দৈনিক উত্তোলন ১২ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেবে। এর মধ্যে কেবল ওপেকভুক্ত ১১টি দেশই কমাবে আট লাখ ব্যারেল। ইরান, ভেনিজুয়েলা ও লিবিয়াকে এক্ষেত্রে উত্তোলন হ্রাস চুক্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তবে জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও সরবরাহ কমিয়ে দিলেও কার্যত এটি বাজার চাঙ্গা করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি তেলের বাজারে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে।