মার্কিন-চীন বিরোধে ঊর্ধ্বমুখী স্বর্ণের বাজার

বণিক বার্তা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন-চীন বাণিজ্যবিরোধ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল স্বর্ণের বাজার। এমনকি দুই পক্ষের মধ্যে আসন্ন বাণিজ্যচুক্তি নিয়েও বেশ আশাবাদী ছিল বৈশ্বিক বাজার। কিন্তু হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের পক্ষে ওয়াশিংটন আইন প্রণয়ন করায় নতুন করে ফুঁসে উঠেছে বেইজিং। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এতে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে স্বর্ণের বাজার। সর্বশেষ গত শুক্রবার ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ডলার ১০ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৫৪ ডলার ৫০ সেন্টে। খবর কিটকো ডটকম রয়টার্স।

মার্কিন-চীন বাণিজ্যবিরোধের জেরেসেফ হেভেনখ্যাত স্বর্ণের বাজার দীর্ঘদিন ধরে চাঙ্গা রয়েছে। অবস্থার মধ্যে ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বে নতুন করে বাণিজ্যবিরোধ অন্যদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের বাজারে। এরই মধ্যে স্বর্ণের স্পটমূল্য দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৬৩ ডলার ৫৯ সেন্টে। আর যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে স্বর্ণের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৭০ ডলার ২০ সেন্টে।

শিকাগোর আরজেও ফিউচার্সের সিনিয়র কমোডিটিজ স্ট্র্যাটিজিস্ট ফিলিপ স্ট্রিবল মনে করেন, হংকয়ের বিক্ষোভকারীদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিল পাস মোটেও ভালোভাবে নেবে না বেইজিং। যার ফলে মার্কিন-চীন বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, সেটি আপাতত পিছিয়ে যাবে। কারণে ইকুইটি স্বর্ণের ভবিষ্যৎ বাজার আবার চাঙ্গা হয়েছে।

অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় স্বর্ণের বাজারে বিনিয়োগ বাড়ে। যার ফলে সময়ে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কারণেই দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা রয়েছে। এমনকি চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম ১৩ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। 

এদিকে স্বর্ণের পাশাপাশি অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর দামেও পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে রুপার দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ ডলারে। তবে প্লাটিনামের দাম পড়েছে। সময়ে ধাতুটির দাম দশমিক শতাংশ কমে প্রতি আউন্সের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৯৫ ডলার ৫০ সেন্টে। তবে প্লাডিয়ামের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সর্বশেষ প্রতি আউন্স প্লাডিয়াম হাজার ৮৪০ ডলার ৫২ সেন্টে স্থির রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন