নির্মাণ খাতের অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে ঢাকার বায়ুদূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের কাজ চলছে উত্তরা-মিরপুর-ফার্মগেট-মতিঝিল সড়কে। বিমানবন্দর-মহাখালী-মগবাজার-কুতুবখালী সড়কে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। চলমান নির্মাণযজ্ঞে ঢাকার প্রধান চার সড়কের দুটিই সরু হয়ে আসায় রাস্তায় বেড়েছে গাড়ির চাপ। ফলে একদিকে যানজট, অন্যদিকে সড়কে ফেলা রাখা নির্মাণসামগ্রী বাড়িয়ে তুলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ এখন ভয়াবহ পর্যায়ে চলে এসেছে। বায়ুদূষণের বিবেচনায় ঢাকাকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ নগরী বলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে। বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বায়ুদূষণ-কবলিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঢাকার বায়ুমান সূচক (একিউআই) ছিল ১৭৪। ওই সময় বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা পিএম .-এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯৯ দশমিক মাইক্রোগ্রাম। গতকাল ঢাকার বাতাস সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ছিল ভোর ৫টায়। সে সময় একিউআই ছিল ২৫০। ঢাকার বাতাসে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা অস্বাস্থ্যকর অবস্থা বিরাজ করবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে এয়ার ভিজ্যুয়াল।

নির্মাণকাজে পর্যাপ্ত দূষণ প্রতিরোধী ব্যবস্থা না থাকাকে ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নির্মাণকাজের সময় নিয়ম না মেনে মাটি, বালিসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী দীর্ঘদিন যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়। রাস্তার দুই পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয় ময়লা-আবর্জনা, যা বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে ঢাকায়।

ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। শুরু থেকেই প্রকল্পটি ছিল অব্যবস্থাপনায় ভরা। মাটির নিচে রাস্তার উপরে থাকা বিভিন্ন পরিষেবা স্থানান্তর হয় অপরিকল্পিতভাবে। রাস্তা-ফুটপাতের ওপর মাটি-বালি থেকে শুরু করে ভারী নির্মাণসামগ্রীও ফেলে রাখে প্রকল্পের ঠিকাদার। যদিও নিয়ম হচ্ছে প্রকল্পের কাজে ব্যবহূত কিংবা অব্যবহূত মাটি, বালি, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণ এমনভাবে ঢেকে রাখা, যেন তা গাড়ি বা পথচারী চলাচল বাধাগ্রস্ত না করে এবং পরিবেশ দূষণ করতে না পারে। উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে এখন পর্যন্ত নিয়ম সঠিকভাবে মানছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

বড় নির্মাণ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো দিনে নয়, রাতে কাজ করা। দিনে প্রকল্প এলাকায় গাড়ি মানুষের চাপ থাকে। সময় নির্মাণকাজ চালু থাকলে পরিবেশ দূষণ বেশি হয়। পাশাপাশি দূষণের প্রভাবটাও মানুষের ওপর বেশি পড়ে। কারণে ভারতসহ অন্যান্য দেশে মেট্রোরেলের সিংহভাগ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন