সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণরা যাতে কোনো ধরনের অন্যায়ে জড়িয়ে না পড়ে এবং সত্যের প্রতি সবসময় অবিচল থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কারণ তরুণরাই পারবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে বদলে দিতে।
গতকাল রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) অডিটোরিয়ামে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ন্যাশনাল লিডারশিপ কার্নিভাল ২০১৯’-এ বক্তারা এসব কথা বলেন। কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুডিথ হারবার্টসন, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো. হায়দার
আলী খান ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক কুমার বণিক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা জামান। ইয়ুথ ক্লাব ও কার্নিভাল বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের সভাপতি আরিফিন রাহমান হিমেল।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউকেএইডের সহযোগিতায় আয়োজিত এ কার্নিভালে দেশের ৭২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের প্রায় ৪০০ তরুণ অংশ নেন। সেশনভিত্তিক আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে তরুণদের করণীয় দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এসব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক, এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবিরসহ আরো অনেকে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতালের সিওও ডা. একেএম ইকরামুল হুসাইন, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের পরিচালক মুজাহিদ আল বেরুনী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সাতটি সংগঠনকে ‘ইয়ুথ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এছাড়া কার্নিভালের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল সমাজ পরিবর্তনের ধারণাবিষয়ক ‘কমিউনিটি চেঞ্জ মেকার কম্পিটিশন’, ‘তোমার চোখে তারুণ্য’ শীর্ষক আলোক প্রদর্শনী ও ‘ইয়ুথ অলিম্পিয়াড’।