এসএ গেমস আরচারির ১০ ইভেন্টে বাংলাদেশ সবগুলো স্বর্ণপদক পেলে অবাক হবেন? প্রশ্নের পর খেলাটির মনস্তাত্ত্বিক দিক ও নেপালের ভেনুর ফিরিস্তি দিলেন কোচ জিয়াউল হক। সরাসরি উত্তর না দেয়া কোচের কথার সারাংশ ধরলে বাংলাদেশ এ ডিসিপ্লিনে পরিষ্কার ফেভারিট।
এমনিতে ক্রমউন্নতির পথেই আছেন বাংলাদেশের আরচাররা। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে গেমসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এ ইভেন্টে দল পাঠায়নি। দুয়ের যোগফলে গেমসের যেকোনো ডিসিপ্লিনে সর্বোচ্চ সাফল্যের হাতছানি দিচ্ছে আরচারি দলের সামনে। আগামীকাল নেপালে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ক্রীড়াযজ্ঞ, শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। গেমসে অংশ নিতে বাংলাদেশ আরচারি দল নেপাল যাবে ৩ ডিসেম্বর।
পরিষ্কার ফেভারিট হলেও কোচ জিয়াউল হক সাবধানে পা ফেলার পক্ষে। প্রথমত, খেলা হবে পোখরায়। কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের এ শহরের অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার উপরে। যেখানে ঠাণ্ডার সঙ্গে বাতাসও মোকাবেলা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সবগুলো ইভেন্টে প্রতি দেশ থেকে চারজন করে তীরন্দাজ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুজন স্বর্ণপদকের লড়াইয়ে যাবেন। পোখরার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পর শীর্ষ আরচাররা র্যাংকিংয়ে ভালো করলেই সোনার হাসি সম্ভব বলে মনে করছেন কোচ জিয়াউল হক।
‘ভারত খেলছে কিনা—আমরা কিন্তু সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি না। ভারতকে প্রতিপক্ষ ধরেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ভারত ছাড়া বাকি যে দেশগুলো খেলবে তারাও কিন্তু শক্তিশালী। আমরা নিজেদের স্বাভাবিক নৈপুণ্য দেখাতে পারলে বড় সাফল্যই আসবে’—গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন জিয়াউল হক।