ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ

উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলনে আলোচনায় যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীকেন্দ্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের মূল চালিকাশক্তি মহানগর আওয়ামী লীগ। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ অংশের এবারের সম্মেলন একই সঙ্গে একমঞ্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে মহানগরীর বিভক্ত দুই অংশেই নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা দেখছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে উত্তরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন তারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সহযোগী সংগঠনের মতো ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের কমিটি গঠনের বিষয়টিও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। অতীতে দলের জন্য নিবেদিত ভূমিকা পালনকারী, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী দুর্নীতিমুক্তদেরই মহানগরের নেতৃত্বে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের তিন বছর পর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগরকে আলাদা করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ উত্তরের কমিটি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দক্ষিণের সভাপতি হয়েছিলেন আবুল হাসনাত এবং সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। অন্যদিকে উত্তরের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল যথাক্রমে একেএম রহমতুল্লাহ সাদেক খানকে।

আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেরই অভিযোগ, নগরীর উত্তর দক্ষিণের কমিটির বিগত তিন বছরের কর্মকাণ্ড তেমন সন্তোষজনক নয়। সময়ের মধ্যে নগরীর থানা কমিটিগুলোর বেশির ভাগেরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যায়নি। আবার একবার করা হলেও পরে অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিলের ঘটনাও ঘটেছে।

এসব অভিযোগের কারণেই দুই অংশের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন তারা।

নতুন নেতা নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, আমাদের যেকোনো সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রধান যেসব বিষয় মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে, সেগুলো হলো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, জনপ্রিয়তা দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা। একই সঙ্গে আমরা অবশ্যই দেখব পদপ্রত্যাশীরা কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা। সবকিছুর বিবেচনায় নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন