সান্তাহার বাফার গুদাম থেকে বগুড়া বাফার গুদামে পাঠানো ২৬০ টন গুটি ইউরিয়া সারের মধ্যে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ১৬০ টন। ২৫ নভেম্বর আসা জমাট বাঁধা এসব সার উত্তোলন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বগুড়ার ডিলাররা। এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
বগুড়া বাফার গুদামের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোস্তাফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আমদানীকৃত ২৬০ টন ইউরিয়া সার সম্প্রতি যশোরের নওয়াপাড়া থেকে সান্তাহার হয়ে বগুড়া বাফার গুদামে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৬০ টন সার জমাট বাঁধা ও বিবর্ণ। ফলে বগুড়ার ডিলাররা এসব সার উত্তোলন করতে চাচ্ছেন না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জাহাজে করে আনা সারগুলো প্রথমে মোংলা বন্দরে নামানো হয়।
এ বিষয়ে বিসিআইসি বগুড়া অঞ্চলের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মতিন বলেন, ১৬০ টন সার জমাট বাঁধা সার বগুড়া বাফার গুদামের জন্য রিসিভ করা হচ্ছে না। সারগুলো ফেরত দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সারবোঝাই অপেক্ষমাণ ট্রাকগুলো দ্রুতই ফেরত যাবে। তিনি আরো জানান, বগুড়ায় সারের ডিলার আছেন ১৬৩ জন। তারা অনেকেই নিয়মিত সার উত্তোলন করছেন। মূলত মাঠপর্যায়ে কৃষকরা জমাট বাঁধা সার নিতে চান না। তাই এবার তারা আর জমাট সার উত্তোলন করতে চাইছেন না।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, ইউরিয়া সার জমাট বাঁধলেও গুণাগুণ সাধারণত নষ্ট হয় না। কিন্তু জমাট বাঁধা সার জমির এক স্থানে পড়ে থাকে। ফলে ওই স্থানেই জমি বেশি উর্বর হয়। তাছাড়া জমাট বাঁধা সার কৃষক নিতে চান না।
কাহালুর পাঁচপীর এলাকার কৃষক আব্দুল বাছেদ বলেন, জমাট বাঁধা সার জমিতে দেয়ার সময় পরিমাপ বোঝা যায় না। তাই অনেক সময়ই জমিতে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ হয়ে যায়। অন্যদিকে গুঁড়ো করে প্রয়োগ করতে গেলেও অনেক সার নষ্ট হয়। তাই কৃষকদের মধ্যে জমাট বাঁধা সার নেয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে।
একই কথা জানান সোনাতলার হুয়াকুয়া এলাকার কৃষক আবু মুসা। তিনি বলেন, গত বছর জমাট বাঁধা ইউরিয়া জমিতে প্রয়োগ করতে গিয়ে তার অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। তাছাড়া জমাট সার জমির সবখানে সমভাবে প্রয়োগ করা যায় না।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) বগুড়া জেলা ইউনিটের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও গত বছর সান্তাহার থেকে বগুড়া বাফার গুদামে ১৫ হাজার