পরিযায়ী পাখির আগমনে নতুন রূপে জাবি ক্যাম্পাস

হাসান তানভীর

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে আবার আসতে শুরু করেছে শীত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশে বের হলে দেখা যায় দূর্বার ডগায় মুক্তাবিন্দুর মতো লেগে আছে ফোঁটা ফোঁটা শিশির। প্রকৃতি যখন আপন রূপে সাজে, তখন সঙ্গে নিয়ে আসে তার সব অনুষঙ্গ। পরিযায়ী পাখি দেশের শীতের অন্যতম অলঙ্কার। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সুদূর উত্তরের দেশ থেকে উড়ে আসা এসব অতিথির অন্যতম আশ্রয়স্থল সবুজ প্রকৃতি নয়নাভিরাম লেকসমৃদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অতিথিদের আগমনে এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে নতুন রূপে। উষ্ণতার খোঁজে ছুটে আসা অতিথিদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছে নাতিশীতোষ্ণ জলের বিস্তৃত সরোবর। তাতে লাল শাপলারা গেঁথে রেখেছে বিনি সুতোর মালা।

জাবির সবুজ ক্যাম্পাস এখন নৈসর্গিক শোভায় অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে। নানা জটিলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও থেমে নেই প্রাণের উচ্ছ্বাস। শহরের ব্যস্ত জীবনের যান্ত্রিকতা আর ধুলোবালি থেকে কিছু সময় মুক্ত থেকে পাখিদের কলকাকলি উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত পাখিপ্রেমী ভিড় জমাচ্ছেন ক্যাম্পাসে। নানা প্রজাতির অতিথি পাখির কিচিরমিচির, জলকেলি, খুনসুটি, উন্মুক্ত আকাশে মনের সুখে দলবেঁধে উড়ে বেড়ানোর সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। লাল শাপলার মাঝে ধূসর রঙের হরেক প্রজাতির পাখির সমাহারে প্রাণ প্রকৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে।

অতিথি পাখির আগমন ঘটে সাধারণত হিমালয়ের উত্তরের দেশগুলো থেকে। সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া নেপালে সময়টায় প্রচুর তুষারপাতের কারণে পাখিরা বাংলাদেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। প্রতি বছর দূরদূরান্ত থেকে আসা নাম না জানা এসব পাখিকে উদারভাবে বুকে টেনে নেয় জাবি ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় ১০-১২টি লেক থাকলেও পাখি আসে মূলত চারটি লেকে। বছর এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের লেক ট্রান্সপোর্টসংলগ্ন লেকেই অতিথি পাখির দেখা মিলেছে। জাবিতে আশ্রয় নেয়া অতিথি পাখিদের মধ্যে অন্যতম হলো সরাল, পিচার্ড, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, কলাই, নাকতা, জলপিপি, ফ্লাইপেচার, কোম্বডাক, পাতারি, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সাল থেকে ক্যাম্পাসে সর্বপ্রথম অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। তখন ক্যাম্পাসে ৯৮ প্রজাতির পাখি দেখা যেত। বর্তমানে ১৯৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এর মধ্যে ১২৬টি দেশী ৬৯টি বিদেশী। এদের বেশির ভাগই হাঁসজাতীয় পাখি। ক্যাম্পাসে যেসব পাখি আসে, সেসবের মধ্যে ৯৮ শতাংশই ছোট সরালি। বাকি শতাংশ অন্য প্রজাতির পাখি।

অতিথি পাখিদের নিরাপত্তায় প্রতি বছর কিছু উদ্যোগও নেয়া হয়। বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পাখি গবেষক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বর থেকে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা জনসচেতনতা পাখিদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করবেন। পাখি দেখার সময় করণীয় দিকনির্দেশনাসংবলিত ফেস্টুনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ওগুলো নতুন করে লাগানো হবে। এছাড়া মানুষের মাঝে অতিথি পাখির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছর আমরা পাখি মেলার আয়োজন করে থাকি। বছরও জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয়

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন