অর্থনৈতিক বিষণ্নতার কাল কি আগত?

রঘুরাম রাজন

যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক মন্দার পটভূমি কী হতে পারে? অতীতে সম্প্রসারণ কালপরবর্তী একটি কঠোর শ্রমবাজার আগাম সতর্কতা প্রদান করে যে অদূর ভবিষ্যতে শ্রমিক খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে, পারিশ্রমিকের পরিমাণ বেড়ে যাবে, করপোরেট প্রফিট মার্জিন সংকুচিত হবে এবং ফার্মগুলো মূল্যবৃদ্ধি শুরু করবে। মূল্যস্ফীতির ভয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন সুদের হার বাড়িয়ে দিলে করপোরেট বিনিয়োগ অনুৎসাহিত হয় কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়।

অবস্থায় ভোক্তারা তাদের চাকরি নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভোগের পরিমাণ কমিয়ে দেন। এভাবে ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার ফলে সমষ্টিগত চাহিদা হ্রাস পায়। কমে যায় করপোরেট পণ্যদ্রব্য উৎপাদনের পরিমাণ। প্রবৃদ্ধির গতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধীর হয়, যা আর্থিক মন্দা শুরুর সংকেত প্রদান করে। এরপর গোটা পরিস্থিতিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। ফার্মগুলো উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার পরবর্তী সময়ে আবারো অধিক উৎপাদন শুরু করে; এভাবে যখন মূল্যস্ফীতি হ্রাস পায়, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাহিদা বাড়াতে সুদের হার কমিয়ে দেয়।

যদিও উল্লিখিত বিবরণটি আগেকার সময়ের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে রয়েছে। সুদের হার বৃদ্ধির পক্ষে কিংবা পরবর্তী মন্দাগুলোর জন্য এটি আর নির্ভরযোগ্য কারণ হিসেবে কাজ করছে না।

২০০১ সালে ডটকম উন্মাদনার কালে শেয়ারের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল; আবার ২০০৭-০৮ সালের দিকে উচ্চ সুদে বন্ধকপ্রবণতা আর্থিক খাতের জন্য লাভজনক হয়ে আসে। তাছাড়া মন্দার আগেই মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক সুদের হার বৃদ্ধি করা হয়। মূল্যস্ফীতির জন্য তারা দায়ী নয়, বরং মূল্যস্ফীতি প্রকট হওয়ার আগেই তারা মুদ্রানীতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়।

এখনো ফেড কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বর্তমান মূল্যস্ফীতির পরিমাণ কম। এমনকি -সংক্রান্ত অগ্রিম জোর প্রদানের বিষয়টি এখন পর্যন্ত তাদের আলোচনার টেবিলে নেই (যার নেপথ্যে বিভিন্ন কারণ বিদ্যমান) গত বছর ফেড যখন সুদের হার বাড়াতে শুরু করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তখন আরো জোরালোভাবে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে বাজারে ধস নামা শুরু হলে ফেড পিছু হটে। যদিও বাণিজ্যযুদ্ধের সমাধানে সমন্বিত একটি চুক্তির বিষয় কোথাও নজরে পড়ে না। তাছাড়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসন তদন্ত চলছে, আর শিগগিরই ফেডের পক্ষ থেকেও আর্থিক নীতি কঠোর করার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে ট্রাম্পও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে মন্দার জন্য তিনি সরাসরি ফেডের ঘাড়ে দায় চাপাবেন। হিসাব করে দেখা যায়, হার বৃদ্ধির পর মন্দার সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকির তুলনায় উচ্চমূল্যস্ফীতির নামিক ঝুঁকিগুলো তুলনামূলক কম। ফেড আপাতত আর হার বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকবে না। বরং এর পরিবর্তে তারা ভিন্ন পথে হাঁটবে। তাছাড়া ২০১৯ সালে মন্দার বিপরীতেবীমা ক্রয়বাবদ তিনবার হার কমানো হয়েছে। এদিকে ফেড মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রাভারসাম্যপূর্ণবলে জোর দিয়ে চলেছে। এর অর্থ, সুনির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক মূল্যস্ফীতির বিষয়টি তারা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হস্তক্ষেপের আগেই

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন