শাহজালাল বিমানবন্দরের কলেবর বাড়ছে

বণিক বার্তা অনলাইন

খুব শিগগিরই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এতে মোট ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ (২৮ শে নভেম্বর ২০১৯) চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধুমতী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক যাত্রী লাউঞ্জ উদ্বোধন কালে একথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মধুমতী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দর যেকোন দেশের প্রবেশ দ্বার। বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ যেকোনো যাত্রীর কাছে দেশের উন্নয়নকে প্রথমেই প্রতিফলিত করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও নির্দেশনায় দেশের বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নে বর্তমানে বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।’

তিনি জানান, অচিরেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় টার্মিনালের কাজ শুরু হবে। যা নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। এই টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটারের আয়তন, ২০টি বোর্ডিং ব্রিজ, ২১টি কনভয়ের বেল্ট ও ১৭৭টি চেক ইন কাউন্টার নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে মোট ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা প্রদান করতে পারবে।

এছাড়াও, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে শক্তিশালীকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ৫ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ের দৈর্ঘ ৯ হাজার ফুট থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ফুট করার প্রকল্প চলমান রয়েছে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের কারণে আমাদের জনগণের জীবনমান এখন আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  হাত ধরে বাংলাদেশ এখন আলোকের অভিসারের পথযাত্রী।’

অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারি অংশীজনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক যে লাউঞ্জটি উদ্বোধন হচ্ছে তা যাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে সেবা প্রদান করবে। যাত্রীদের ভ্রমণ কে আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক করার জন্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন