সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদী হামিদা খাতুনকে (৫০) পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় হামিদা খাতুন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির এই কারাদণ্ড প্রদান করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি শেখ আব্দুল হামিদ লাভলু এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জেলার কামারখন্দ উপজেলার খামার বড়ধুল গ্রামের কবির হোসেনের সাথে একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে হামিদ খাতুনের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হামিদা খাতুন গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কবির হোসেন ও তার পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণীত হয়। পরে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ এনে কবির হোসেন হামিদা খাতুনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দায়ের কৃত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণীত হওয়ায় অভিযোগকারী মামলার বাদী হামিদা খাতুনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।