পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পার্বত্য এলাকায় কোনো ঘর যাতে অন্ধকার না থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলার যে সকল দুর্গম এলাকায় আগামী ২০-২৫ বছর গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়; সৌর শক্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেসব এলাকায় বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এ প্রকল্পে প্রথমে ২০১৫-১৬ হতে ২০১৯ জুন পর্যন্ত মোট বরাদ্দ হয় ৭৬ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রকল্পটির মাধ্যমে ১৩ হাজার ৭০৮ জন সুবিধা ভোগ করছে।
বিনামূল্যে সোলার পাওয়ায় কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুবিধাভোগীরা বলেন, আগে সন্ধ্যার পর অনেকটা অন্ধকারে থাকতো হতো। বাচ্চাদের পড়ালেখা, কোমর তাঁতসহ বিভিন্ন কাজ করা যাচ্ছে সোলারের আলোর কারণে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। পার্বত্য এলাকায় কোনো ঘর যাতে অন্ধকার না থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেখানে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। আমরা চাই কোনো বাড়ি আর যাতে অন্ধকারে না থাকে, সেভাবে আমরা প্রকল্প নিয়েছি এবং কাজও কারে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় আগে দুপুর ৩টার পর থাকা যেতো না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য এলাকার সমস্যাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। এটি রাজনৈতিক সমস্যা ছিল, আমরা রাজনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করি এবং পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা শান্তি চুক্তি করেছি। শান্তি চুক্তির ফলে প্রায় ১৮শ অস্ত্রধারী আমার কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন এবং আমরা সকলকে পুনর্বাসন করি। ৬৪ হাজার লোক ভারত থেকে প্রত্যাবাসন ও পুনবার্সনের ব্যবস্থা করি।’