কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত উন্নয়ন ও বায়ুদূষণ রোধেও সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসডিজিকে অনেকে অনেকভাবে বিশ্লেষণ করলেও এর প্রতিটি অভীষ্টের সঙ্গে পরিবেশের কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে উঠে এসেছে।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এক কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। ‘গ্রিন এনভায়রনমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টস’—এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ‘এনভায়রনমেন্টাল সলিউশনস ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট: টুওয়ার্ডস ডেভেলপড বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নের জন্য নানাভাবে আমাদের পরিবেশকে ধ্বংস করি। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে পরিবেশগত সমস্যাগুলো জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিবেশকে কোনো সীমানা দ্বারা সীমাবদ্ধ করা যায় না। আমাদের সামনে নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে সামনে এগিয়ে যাব। সীমিত সুযোগ ও সম্পদ নিয়ে আমরা এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যই অর্জন করতে চাই। এ কনফারেন্স থেকে সুনির্দিষ্ট যেসব প্রস্তাব আসবে তা বিবেচনা করে দেখার আশ্বাসও দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত উন্নয়ন খুবই জরুরি এবং এজন্য আমাদের ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট কমাতে হবে, তাহলেই সম্ভব হবে টেকসই উন্নয়ন। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ ধরনের প্রোগ্রাম সহায়ক হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এ রকম প্রোগ্রাম খুব কমই দেখা যায়। এ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে রাজনীতিবিদ ও দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের মিথস্ক্রিয়া হয়, যা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। এ রকম সম্মেলনের আয়োজন বর্তমান সরকারের পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সদিচ্ছার স্বাক্ষর বহন করে।
অনুষ্ঠানে থিম স্পিকার ছিলেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত। প্লেনারি লেকচার প্রদান করেন বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রেগরি জে হাওয়ার্ড। কনফারেন্সে ২০টিরও বেশি দেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চেয়ার 
