সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ

আর্থিক লেনদেন ছাড়া পাসপোর্ট অফিসে সেবা মেলে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাসপোর্ট ইস্যু নবায়নে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শহিদুল ইসলামসহ অন্য একজন সচিবও একই অভিযোগ তোলেন। তারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত পাসপোর্ট অফিসের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাসপোর্ট কার্যক্রম স্বচ্ছ করার পরামর্শ দেন। গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অভিযোগ তোলা হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে তথ্য জানা গেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত কমিটির অষ্টম বৈঠকে ওই কার্যবিবরণী উপস্থাপন অনুমোদন করা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের সময়মতো পাসপোর্ট নবায়ন না হওয়া এবং -পাসপোর্ট কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে ওই বৈঠকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়।

বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী -পাসপোর্ট ইস্যুতে দেরি হওয়া, প্রবাসীদের সময়মতো পাসপোর্ট নবায়ন না হওয়া এবং পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত জুলাইয়ে -পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। সময় -পাসপোর্ট নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টিরও অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, স্পেন প্রবাসী ১৫০ জন বাংলাদেশীর পাসপোর্ট প্রায় পাঁচ মাস ধরে নবায়ন না করে ফেলে রাখা হয়েছে। ব্যাপারে দূতাবাস থেকে বার বার তাগাদাপত্র দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডিও লেটার দিয়েছেন। একই ধরনের সমস্যা প্রায় প্রতিটি মিশন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পয়সা ছাড়া পাসপোর্ট না পাওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ধরনের অভিযোগ কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শহিদুল হক বলেন, একই ব্যক্তির নামে একই বছরে তিনটি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ইস্যু করা হয়েছে, যা ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন