ইসলামী ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার বন্ড প্রস্তাবে কমিশনের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬০০ কোটি টাকার মুদারাবা রিডিমেবল নন-কনভার্টিবল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ৭০৮তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বন্ডটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে এটি নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেটেড, আনসিকিউরড ও আনলিস্টেড সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। এটি সাত বছরে পূর্ণ অবসায়ন হবে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও উচ্চসম্পদশালী বিনিয়োগকারীসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীর কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড ইস্যু করা হবে।

বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি তাদের টিয়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১ কোটি টাকা। এ বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

মোট ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার তৃতীয় মুদারাবা রিডিমেবল নন-কনভার্টিবল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু পরিকল্পনার প্রথম কিস্তি হিসেবে ৬০০ কোটি টাকার এ বন্ড ইস্যু করছে ইসলামী ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বরে ইসলামী শরিয়াহর অধীনে মুদারাবা নীতির ওপর ভিত্তি করে ৬০০ কোটি টাকার দুটি কিস্তির মাধ্যমে সাত বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনসাপেক্ষে বন্ডগুলো ইস্যু করা হবে।

ইসলামী ধারার প্রথম বাংলাদেশী ব্যাংকটি ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ৯৩৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ১৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন: সম্প্রতি সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭-এ সংশোধন এনে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০১৯ শিরোনামে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তাবনা তৈরি করেছে বিএসইসি। গতকালের কমিশন সভায় কিছু সংশোধনসাপেক্ষে এ খসড়া নীতিমালায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন খসড়াটির বিষয়ে জনমত জরিপ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতকৃত খসড়া শিগগিরই দৈনিক পত্রিকা ও কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন