সচরাচর বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে ১ নং লাইন দিয়েই ট্রেন চলাচল করে। স্টেশনের ২ নং লাইন অব্যবহৃত থাকায় সেখানে গড়ে ওঠে ভ্রাম্যমাণ দোকান। এসব দোকানে প্রতিদিন ভিড় করেন হাজারো ক্রেতা। গতকাল দুপুরে ১ নং লাইনের পরিবর্তে ২ নং লাইন দিয়ে বগুড়া স্টেশনে ট্রেন প্রবেশ করে। তাতেই ঘটে বিপত্তি। কারণ রেল লাইনের ওপর বসা দোকানি ও ক্রেতারা জানতেন না ২ নং লাইনে ট্রেন প্রবেশ করবে। অবশেষে ২০-২৫টি দোকান গুঁড়িয়ে তবেই থামে ট্রেনটি। গতি কম থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। তার পরও তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বগুড়া রেলস্টেশনে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেসের সঙ্গে দিনাজপুর থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের ক্রসিং ছিল। এ কারণে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছিল। তাই দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ১ নং লাইনের পরিবর্তে ২ নং লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল দেয়া হয়। দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২ নং লাইনে ধরে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। স্টেশনের কাছাকাছি বলে ট্রেনের গতি কম ছিল। অন্যদিকে ২ নং লাইনের ওপরই ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা পণ্যে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। দোকানিরা জানতেন না ২ নং লাইনে দোলনচাঁপা ট্রেনটি প্রবেশ করবে। বেলা দেড়টায় যথাসময়ে দোলনচাঁপা ট্রেনটি ২ নং লাইনে প্রবেশ করতে দেখে আতঙ্কিত লোকজন মালপত্র ফেলে ছোটাছুটি শুরু করে। ট্রেনের গতিবেগ কম থাকায় চালক স্বেচ্ছায় ট্রেন থামিয়ে দেন। ফলে বড় ধরনের কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার এসএম আব্দুল্লাহ জানান, সম্প্রতি রেলের জমিতে উচ্ছেদ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু দুয়েকদিন বন্ধ রাখার পর তারা আবারো রেললাইনের ওপর ঝুঁকি নিয়ে দোকান বসিয়েছে। দোলনচাঁপা ট্রেনের চালক ভুল করেননি। ট্রেনটি সঠিক লাইনেই প্রবেশ করে। চালক ট্রেন থামানোর কারণে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।