টানা কয়েক দিন দাম বাড়ার পর গত দুদিনে
আবারো কমেছে পেঁয়াজের দাম। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে একদিনের ব্যবধানে গতকাল
পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা। আর একদিন আগেও প্রতি কেজি
পেঁয়াজে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। সেই ধারাবাহিকতায় গতকালও হিলিতে মসলাজাতীয়
পণ্যটির দাম কমতির দিকে ছিল।
গতকাল হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মিয়ানমার বাদে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ পাইকারিতে প্রতি
কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়,
যা একদিন আগেও ১৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর
মিয়ানমার থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে, যা
একদিন আগেও ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
অন্যদিকে পাইকারির পাশাপাশি খুচরা বাজারেও
পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। একদিন আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৮০ টাকা
দরে বিক্রি হলেও গতকাল সেটি ১৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখে গেছে।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলাপণ্যটির দাম
চড়া থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রহিমা খাতুন
ও মুশফিকুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই।
এত চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য বাজারে পেঁয়াজের সরবারহ
বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান এ দুই ক্রেতা।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে উঠতে শুরু
করেছে দেশীয় পাতা পেঁয়াজ। অন্যান্য পেঁয়াজের দাম চড়া থাকায় পাতা পেঁয়াজের দিকে
বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। বাজারে এ-জাতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের
লাগামহীন দামের ফলে পাতা পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মেটাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল
আলম বলেন, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং
স্থানীয়ভাবে সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার কারণে বাজারে এখন দাম
কমতির দিকে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে দেশী নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ শুরু হলে দাম আরো
কমে আসবে। এছাড়া মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কমতির
দিকে থাকবে বলে মনে করেন এ বিক্রেতা।