পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বদ্ধ পরিকর

বাংলাদেশের সামনে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশগত উন্নয়ন ও বায়ু দূষণরোধেও সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এসডিজিকে অনেকে অনেকভাবে বিশ্লেষণ করলেও প্রতিটির সাথে পরিবেশের কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে।

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এই কথাগুলো বলেন। ‘গ্রিন এনভায়রনমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট’স’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘এনভায়রনমেন্টাল সলিউশনস ফর সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট: টুওয়ার্ডস ডেভেলপড বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সার্বভৌম টিকে থাকা নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জিডিপির ক্রমবৃদ্ধি ও বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলের সদস্য আরো বলেন, আমরা উন্নয়নের জন্য নানাভাবে আমাদের পরিবেশকে ধ্বংস করি। তবে আমদের মনে রাখতে হবে পরিবেশগত সমস্যাগুলো জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ পরিবেশকে কোন সীমানা দ্বারা সীমাবদ্ধ করা যায় না। আমাদের সামনে নানামুখী চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সীমিত সুযোগ ও সম্পদ নিয়ে আমরা এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যই অর্জন করতে চাই। এই কনফারেন্স থেকে যে সুনির্দিষ্ট যেসব প্রস্তাব আসবে বিবেচনা করে দেখার আশ্বাসও দেন তিনি। 

কনফারন্সের উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশগত উন্নয়ন খুবই জরুরি এবং এর জন্য আমাদের ইকোলজিক্যাল ফুটপ্রিন্ট কমাতে হবে, তাহলেই সম্ভব হবে টেকসই উন্নয়ন। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ ধরনের পোগ্রাম সাহায়ক হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এরকম প্রোগ্রাম খুব কমই দেখা যায়। এ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে রাজনীতিবিদ ও দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের মিথষ্ক্রিয়া হয় যা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। এ রকম প্রোগ্রামের আয়োজন বর্তমান সরকারের পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার সদিচ্ছার স্বাক্ষর বহন করে। 

এছাড়াও উক্ত কনফারেন্সে থিম স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ অধ্যাপক এমিরেটাস ড. আইনুন নিশাত। প্লেনারি লেকচার প্রদান করেন বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান এবং ইউএসএ’র বিখ্যাত ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রেগরি জে হাওয়ার্ড। অনুষ্ঠানে ২০টিরও অধিক দেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চেয়ার ও কো চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. আতিউর রহমান, সাবেক সচিব এন আই খান, কলকাতা বিশ্বদ্যিালয়েরঅধ্যাপক ড. দিলিপ কুমার মৈত্রী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ন আকতার, অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন।

অধ্যাপক বজলুর হক খন্দকারের সভাপতিত্বে, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

আয়োজকরা জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনসহ ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন সায়েন্সেসে একই সময়ে পরিবেশ বিষয়ক বিজ্ঞান নিয়ে ২০৯ টি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন