সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভরত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় পাঁচশ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শক তদন্ত আরিফুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৫ থেকে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৫০০ জনকে মামলায় আসামিরা করে এসআই মতিউর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে সংগঠনটির সভাপতি বিএনপি নেতা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উলফাত ঢাকার বাইরে যাচ্ছিলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান বলেন, “উলফাত যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে তাকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ভোরের দিকে শাহবাগ থানা নেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে যে সমাবেশ হয় তাতে উলফাত সভাপতিত্ব করছিলেন।
সমাবেশের পর তার নেতৃত্বে একটি মিছিল হাই কোর্টের দিকে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বেলা ১টা থেকে ঘণ্টাখানেক প্রেসক্লাব সংলগ্ন হাই কোর্ট মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এই পরিস্থিতিতে প্রেসক্লাব থেকে মৎস্যভবনের দিকে আসার রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশপাশের সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারীর বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পরে আরও পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা ঢিল ছুড়লে মৎস্য ভবনের দিকে পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।বেলা আড়াইটার দিকে যানজট কমে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।