প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান আত্মস্থ করে নিজ কর্মপ্রক্রিয়ায় নিখুঁতভাবে প্রয়োগ করা। কিন্তু কমিশনের কর্মকর্তাদের দেশ-বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও ব্যবহারিক প্রয়োগ হচ্ছে না বলে মনে করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্থের অপব্যয় ও মূল্যবান কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে বলেও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘ট্রেনিং অন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড প্রাকটিসেস ফর এসিসি অফিশিয়ালস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান আত্মস্থ করে নিজ কর্মপ্রক্রিয়ায় তা নিখুঁতভাবে প্রয়োগ করা। তা না হলে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদের সক্ষমতার কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি হয় না। আরো পরিষ্কারভাবে বললে বলা যায়, এর মাধ্যমে অর্থের অপব্যয় এবং মূল্যবান কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। তাই প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি কিছুটা হলেও হতাশ। কারণ আমাদের কর্মকর্তাদের কমিশনের সামর্থ্য অনুযায়ী দেশ-বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে হয়তো সক্ষমতা বৃদ্ধিও হয়েছে, কিন্তু ব্যবহারিকভাবে এর সম্পূর্ণ প্রয়োগ হচ্ছে বলে আমরা অনুভব করছি না।