১৫ দফা দাবি পূরণে চারদিন সময় বেঁধে দিয়েছেন জ্বালানি সরবরাহকাজে যুক্ত পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক ও শ্রমিকরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ধর্মঘট পালনের হুমকি দিয়েছেন তারা। গতকাল বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির নেতারা এ হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তা স্পষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক লরি শ্রমিকদের জন্য ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমার ব্যবস্থা, ট্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রল পাম্পে অতিরিক্ত গণশৌচাগার নির্মাণ ও ক্লিনার নিয়োগসহ সংশ্লিষ্ট বিধান বাতিল, পেট্রল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে ফি দেয়ার প্রথা বাতিল, ট্রেড ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া বাকি সব লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই দ্বারা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংক লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, ডিলার বা এজেন্টকে অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন পেট্রল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রল পাম্পের পাশে স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক লরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে। এসব দাবি না মানলে ১ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করা হবে। একই দাবিতে খুলনা ও রংপুর বিভাগীয় কমিটিও আলাদাভাবে ধর্মঘটের ডাক দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি এমএ মোমিন দুলাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এআরএম খোরশেদ আলম লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।