নিউজিল্যান্ডে দুধের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি মাসে দুধ ও দুগ্ধপণ্যের বাণিজ্য বা জিডিটির দ্বিতীয় নিলামে দাম বৃদ্ধির পর নিউজিল্যান্ডে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুধের দাম ৫০ সেন্ট বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সময় প্রতি কেজি দুধের দাম ৭ ডলার ৫০ সেন্টে পৌঁছাতে পারে। নিউজিল্যান্ডের এএসবি ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রাক্কলন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

এএসবির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে খামারি পর্যায়েও দুধের দাম বাড়বে। গত কয়েক বছরের মধ্যে চতুর্থবারের মতো খামারি পর্যায়ে দুধের দাম কেজিপ্রতি ৭ ডলার অতিক্রম করবে। এর আগে দাম বেড়ে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রতি কেজি ৭ ডলার ৫৯ সেন্ট, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৭ ডলার ৬০ সেন্ট এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮ ডলার ৪০ সেন্ট পর্যন্ত উঠেছিল।

অন্যদিকে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের রফতানির ৩০ শতাংশের বেশি এককভাবে সরবরাহ করা ফন্তেরা কো-পারেটিভ গ্রুপ তাদের প্রাক্কলনে বলছে, চলতি অর্থবছরে দুধের মূল্য কেজিপ্রতি ৬ ডলার ৫৫ সেন্ট থেকে ৭ ডলার ৫৫ সেন্টের মধ্যে থাকবে।

এএসবির রুরাল ইকোনমিস্ট নাথান পেনিও মনে করেন, দুধের দামের যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল, সেটি কেটে গেছে।

এছাড়া চলতি অর্থবছরে উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য দেশগুলোয় দুধের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে চলছে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডেও এবার দুধের উৎপাদন কমতির দিকে থাকবে। ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটে দুধ ও দুগ্ধপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

নাথান পেনি বলেন, বৈশ্বিক চাহিদার বিপরীতে প্রধান দুগ্ধপণ্য রফতানিকারকদের থেকে সরবরাহ কমতে পারে। ফলে দুগ্ধপণ্যের দাম বাড়বে।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের সবচেয়ে বড় নিলাম বসে নিউজিল্যান্ডে। প্রতি মাসে দুবার করে এ নিলাম ডাকা হয়। নিউজিল্যান্ডের ফন্তেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ এ নিলামের আয়োজন করে। বিশ্বের বড় বড় সব দুগ্ধপণ্য প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নেয়। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিলামে ৩৭ হাজার ৯৬৮ টন দুগ্ধপণ্য বিক্রি হয়েছে, যা তার আগের নিলামের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ কম। এ নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক গড়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি টনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৮১ ডলার। আগের নিলামের তুলনায় এ সময় দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন